পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিকিৎসা-তত্ত্ব-বিষয়ক মাসিক পত্রিকা। ...৯ سامسسته )neratس যুক্তিযুক্তমুপাদেয়ং বচনং বালকাদপি । অন্যংতু তৃণবৎ তাজ্যং যদি ব্রহ্মা স্বয়ং বদেৎ ॥ ১৯শ খণ্ড | } জানুয়ারী, ১৯০৯ । | ১ম সংখ্যা। க-தாதம் স্বর্ণপবিরাম জ্বরের চিকিৎসা। (REMITTENT FEVER. ) লেখক-ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত রমেশচন্দ্র রায় এল, এম, এস্ । “স্বল্পবিরাম জ্বর” কি ?- যে জর একেবারে মগ্ন হয় না, ক্ষণিক কমে মাত্র, তাহাকেই স্বল্পবিরাম জর বা রেমিটেণ্ট ফিবার কহে । জর কি ? জর একটি ব্যাপি নহে, ইহ লক্ষণ মাত্র ; যেমন শিরোপীড়া, বমন, ব্যথা, গুটিকা প্রভৃতি এক একটা লক্ষণ, জরও তেমনি একটা লক্ষণ মাত্র। ইহাকে যিনি ব্যাধি মনে করেন, তিনি ভ্রমে পতিত হন । কিন্তু জরকে কয় জনে লক্ষণ বলিয়া ক্ষাস্তু থাকিতে পারেন ? কোন গৃহস্থই বা ভিষকৃকে স্থির থাকিতে দেন ? ইহাকে সাধারণে ব্যাধি মনে করেন ; চিকিৎসক লক্ষণ বলিয়া জানেন —কিন্তু চিকিৎসা কালীন সে কথার বিস্মরণ श्इ ! যে স্থলে আমরা কোনও ব্যাধির মূল কারণ বা নিদান জানিতে পারি, সে স্থলে সে স্থলে তাহার প্রধান লক্ষণ চিকিৎসা করা ব্যতিরেকে আমাদের অন্য উপায় নাই । তাহার লক্ষণগুলি ছাড়িয়া,আমরা মূল কারণের চিকিৎসায় প্রবৃত্ত হই; কিন্তু যে স্থলে রোগের প্রকৃত নিদান সম্বন্ধে আমরা অন্ধ বা অষ্ট, গুলির “জর" এই জন্য লক্ষণ হইয়াও, রোগের শ্রেণীতে উন্নমিত হয়—যেহেতু জ্বরের মাত্ৰাধিক্যে বা দীর্ঘস্থিতিতে জীবন অচিরকাল মধ্যেই বিপন্ন হইতে পারে। এই জন্য, রেমিটেণ্ট ফিবার একটা লক্ষণ হইলেও, আজ তাহাকে ব্যাধি রূপে পরিগণিত করিয়া অামা- ৷ দের তাহার আলোচনা করিতে হইবে । পূৰ্ব্বে একবার “ভিষকদর্পণে” “জর চিকিৎসার আলোচনা করিয়াছি (১৯০৭ সাল, জুন মাসে) ; তৎপরে আমাকৃেপাম্প্রাণী в রাক্ষসী “ম্যালেরিয়া জরের” আলোচনা