পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ-Զ ভিষকৃ-দৰ্পণ । [ আগষ্ট, ১৯০৯ রোগীদের ও ইউরোপিয়ান বালকদের মধ্যে: দেখা যায় যে, কোন কুটিরে অনেক লোকের দেওয়া যায় তখন ইহারা একেবারে আক্রান্ত | মধ্যে কেবল একজন মাত্র আক্রান্ত হইয়াছে। হয় নাই ; কিন্তু যে বালকেরা বৰ্ম্মার চাউল খাইতেছিল তাহারা সকলেই আক্রান্ত হইয়াছিল । ইনিও বলেন যে, চাউল হইতে রোগটি উৎপন্ন হয় । ডাঃ ডেলানি বলেন যে, ইহা একটি জীবাণুজনিত ব্যাধি এবং ইহা ছারপোকার দ্বারা এক ব্যক্তি হইতে অপর ব্যক্তিতে নীত হয়। নিম্নলিখিত কারণে জীবাণুজনিত ব্যাধি বলিয়া বোধ হয় । ( ১ ) রোগটা এপিডেমিক ভাবে দেখা দেয় । (২) অন্যান্য জীবাণুজনিত রোগের ন্যার প্রথমে জর দেখা যায় । ( ৩ ) চৰ্ম্মের বিকার ( s ) গৃহ ত্যাগ করিলে সঙ্গে সঙ্গে রোগের লোপ | র্তীঃ মনরো বলেন যে, রোগটি জীবাণুজনিত নহে । কারণ — (১) যদি জীবাণুজনিত হয়, তাছা হইলে দেখা গিয়াছে যে, এক আক্রমণে রোগীর নিস্তার থাকে না । পুনরাক্রমণ বেশীর ভাগই দেখা যায় । ( ২ ) প্রচ্ছন্নাবস্থার বিশেষ কোন প্রমাণ নাই। যখন অনেকগুলি রোগী কোন কুটিরে দেখা যায়, তাহদের মধ্যে দেখা যায় যে, একদলের আক্রমণের পর আর একদলের আক্রমণের মধ্যে অনেক দিন বা অনেক মাস ব্যবধান আছে । ( ৩ ) ইহার আক্রমণের প্রথা কোন জীবাণুজনিত ব্যাধির ন্যায় নহে। কারণ | ( 4 ) সাধারণতঃ জীবাণুজনিত ব্যাধি নিম্ন শ্রেণীর লোকেদের মধ্যে বেশী দেখা যায় । কিন্তু দীরজিলিঙে তাহ দেখা যায় নাই । (৫) যদি জীবাণুজনিত হইত তাহ হইলে স্থান ত্যাগ করিলে রোগের উপশম হইত না । রোগ সঙ্গে সঙ্গে যাইত । মনরো সাহেব চাউলের উপর বিশেষ সন্দেহ করেন এবং তিনি—বলেন ইহাই রোগের মূল কারণ। কিন্তু তিনি একটি বিষয়ের উল্লেখ করিয়াছেন –কুলির সকলে তাহাকে বলিয়াছিল—সরিষার তৈল ব্যবহার করাতে রোগের উৎপত্তি হইয়াছে । কিন্তু মনরো সাহেব ইহা বিশ্বাস করেন নাই । পূৰ্ব্বে বর্ণিত হইয়াছে যে, ডাঃ পিয়াস। বলেন—ইহা জীবাণুজনিত ব্যাধি এবং ইহা এপিডেমিক ডুপসি নহে ; নিশ্চয়ই বেরি বেরি। ইহার মতে রোগের প্রচ্ছন্নাবস্থা সম্ভবতঃ ৩/৪ দিন । এই বৎসরে বর্ষার সঙ্গে সঙ্গে রোগের পুনরাবির্ভাব হইয়াছে। কলিকাতার অনেক পল্লিতে যেখানে গত বৎসর রোগ দেখা দেয় নাই, সেই সব স্থানে ভয়ঙ্কররূপে দেখা দিয়াছে। কলিকাতার উত্তর ভাগে ভবানীপুর, ইটালি প্রভৃতি স্থানে বেশ জাকিয়া বসিয়াছে । কিন্তু এবৎসরে চিকিৎসকের বিশেষ চিন্তাকুল হইয়াছেন এবং রোগের কারণ নির্ণয়ের জন্য উদগ্রীব হইয়াছেন । কলিকাতার হেলথ বিভাগ হইতে এক কমিটির স্বষ্টি হইয়াছে এবং এই কমিটি হইতে প্রত্যেক চিকিৎসকের উপর মুটিল