পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواسواد গ্রাহই করে নাই। কিন্তু উক্ত লক্ষণ সমূহ তাহার শরীরে অজ্ঞাতসারে উপস্থিত হইয়াছিল। প্রবল লক্ষণসমূহই কেবল এই প্রকৃতির রোগীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সক্ষম, তাহ স্মরণ রাখা উচিত । কোলনের কোন স্থান মোচড়াইয়া গেলে তাহার সাধারণ লক্ষণ—বেদন, সিকমের স্থানে অসুস্থতা বোধ, তৎস্থান স্ফীত বোধ, মল সঞ্চিত হওয়ায় এইরূপ স্ফীতত উপস্থিত হয়, যে স্থান বক্র হইয়াছে সেই স্থানে বেদন', পুরাতন কোষ্ঠবদ্ধতা, শূল বেদনা,উদর স্ফীতি, উদরাখুন, শরীরে বিষাক্ত পদার্থ শোষণজনিত লক্ষণ, রক্তহীনতা । অজীর্ণ পীড়ার লক্ষণ, যথা—অপরিস্কার ময়লা দ্বারা আবৃত জিহবা, আহারে অনিচ্ছা, অক্ষুধা, বিবমিষা, বমন, পিত্তাধিক্যের লক্ষণ, মলে শ্লেষ্মা, কোষ্ঠ পরিস্কার হইল না এমন বোধ, এবং অল্প সময় পরপর মলত্যাগের ইচ্ছা ইত্যাদি । পুৰ্ব্ব ইতিবৃত্ত অনুসন্ধান করলে আন্ত্রিক জর, রক্ত আমাশয়, সিগমইডের প্রদাহ, কোলাইটিস, বস্তিগহবরের প্রদাহ, এপেণ্ডিসাইটিস, উদর গহবরের কোন যন্ত্রের প্রদাহ বা আঘাত ইত্যাদির বিবরণ অবগত হওয়া যাইতে পারে । কিডনীর স্থানভ্রষ্ঠতার সহিত স্নায়বীয় দুৰ্ব্বলতার লক্ষণ, বা অপর কোন সাহায্যজনক বিবরণ অবগত হওয়া যাইতে পারে। দীর্ঘ প্রক্টোস্কোপ দ্বারা পরীক্ষা করিলে আভ্যন্তরিত অবস্থা অবগত হওয়া ৰাইতে পারে। কিন্তু এই যন্ত্র আমাদের নাই । সুতরাং তাহার আলোচনা নিম্প্রয়োজন । পূৰ্ব্বে উল্লেখ করা হইয়াছে যে, সিগমইড এপ্লেক্সাস জন্মের সময়ে অত্যন্ত বড় থাকে, সমস্ত ভিষক-দৰ্পণ । , [ আগষ্ট, ుసెe న কোলনের প্রায় এক তৃতীয়াংশই সিগমইড, তৎপর ক্ষুদ্র অস্ত্র দ্রুত পরিবৰ্দ্ধিত হইতে থাকে, কিন্তু বৃহৎ অস্ত্র বৰ্দ্ধিত হয় না । চারি মাস পর্য্যন্ত এই ভাবেই যায়। প্রথমে সিগমইড বৃহৎ থাকাই ইহার কারণ । তৎপর সাধারণ স্থায়ী অনুপাত ঠিক হয় । শিশুদিগের বস্তি গহবর ছোট, সিগমইড প্লেক্সাস বড়, তার উচ্চ দিক দক্ষিণ দিকে অবস্থিত । এইটী সাধারণ নিয়ম । কিন্তু সকল স্থলে ঠিক এই অবস্থায় অবস্থিত ন হইয়া অন্ত অবস্থায় থাকে। অথচ কোলন দ্রুত বদ্ধিত হয় । এইরূপ অতিরিক্ত বৰ্দ্ধিত অংশই অনাবগুকীয় করে । এইরূপ পীড়া নামে এবং এই অতিরিক্ত অংশের জন্তই আবদ্ধত উৎপন্ন হয় । কোলনের অনাবশু কীয় বৰ্দ্ধিত অংশ অধিক হইলে আবদ্ধতা এবং সামান্ত বৰ্দ্ধিত হইলে কোষ্ঠবদ্ধতা উৎপন্ন হয় । এইরূপ কোষ্টবদ্ধতার প্রতিবিধান না করিলে কালে তাহা হইতেই নানাপ্রকার উপসর্গ আসিয়া সম্মিলিত হয় । এই প্রকৃতির রোগীর অবস্থার প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদান করিয়া সকল বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা আবশুক । আবদ্ধতার লক্ষণ উপস্থিত হইলে সহসা অস্ত্রোপচার না করিয়া অন্যান্য উপায় দ্বারা কোষ্ঠ পরিস্কার করা যায় কিনা, তাহা দেখা কর্তব্য । পাঠক মহাশয়দিগের বুঝিতে সুবিধা হইবে মনে করিয়া এইরূপ পীড়াগ্রস্ত কয়েকটা রোগীর বিবরণ উদ্ধৃত করিলাম। ১ । চারি বৎসর বয়স্ক বালক, কোষ্ঠ হইয়া অসুস্থ তা উৎপন্ন SyggfĘ Hirschsprung's কথিত হয় ।