পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

इश्न | আগষ্ট, ১৯০৯ ] শিশুদের টিউবারকেল। Jo S করে। ডাঃ মেকেঞ্জি মনে করেন যে, জন্মের পরক্ষণেই শিশুকে লুক্কায়িতভাবে এই ব্যারামে আক্রমণ করাই এই প্রবণতার কার্য্য । যদি তাঁহাই , হয়, তবে বংশের দোষ গুণ কোনই কাৰ্য্য করে না, কারণ টিউবারকুলার পিতা মাতার সন্তান সন্ততি টিউবারকেল বেসিলাই দ্বারা লুক্কায়িতভাবে আক্রান্ত হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনার দরুণই তাহার অনেকেই টিউবারকেল ব্যারামে আক্রান্ত “যাহার এই ব্যারামের বেসিলাই . আহারান্তেই ব্যারাম আক্রান্ত বা জাস্তব জাতীয় টিউবারকুলসিস ব্যারাম হইতেই উৎপন্ন অথবা শিশুকালে লুক্কায়িত ভাবে এই ব্যারামে আক্রান্ত হইয় পরে যৌবনে উক্ত ব্যারামে দেহ ত্যাগ করে” এই মত সমূহেরই বিশ্বাসী, তাহাদিগকে আমি জিজ্ঞাসা করি যে, যদি তাহাই হয়, তবে প্রত্যেক শিশু যাহার শৈশবে উক্ত বেসিলাই দ্বারা লুক্কায়িত ভাবে অক্রিান্ত হয় তাহাদের সমস্তেরই কেন এই প্রবণতা জন্মে না এবং টিউবারকেল ব্যারামে তাহারা সমস্তেই কেন মৃত্যুমুখে পতিত হয় না ? শিশুদের ব্যারামের ই/সপাতালে যত শিশু কালপ্রসে পতিত হয় তাহাঁদের মধ্যে শতকরা ৩৮.৫ হইতে ৯০ জন টিউবারকেল বেসিলাই দ্বারা লুক্কায়িতভাবে আক্রান্ত থাকিতে দেখা গিয়াছে এবং ইহাও জানা গিয়াছে যে, যৌবনে অন্তান্ত ব্যারামে মৃত্যুমুখে পতিত রোগীর শতকরা ৭০ জনের ফুসফুসে পুরাতন টিউবারকুলসিস ব্যারামের ঘার শুষ্ক দাগ দেখা যায় । সুতরাং উপরোক্ত পরীক্ষার ফলে ইহা সহজ অনুমান সাধ্য যে, এই ব্যারামের অন্ত একটী কারণ আছে — ইহাই বংশের ব্যারাম প্রবণতার শরীর বা টিউবারকেল ব্যারামের প্রবণতা মাত্র । এই সমস্ত শিশুদের মনের ভাবের বিশেষ বিশেষত্ব আছে । যে সমস্ত শিশুরুeটিউবারকেল ব্যারাম প্রবণতার সহিত স্নায়বীয় চঞ্চল স্বভাব সংযুক্ত দেখা যায়, সাধারণ শিশুদের অপেক্ষায় তাহীদের জ্ঞানের বিশেষ অধিক প্রখরতা দেখা যায় । উপরোক্ত বিশেষত্ত্বের বিষয় এখন আলোচনা না করিয়া স্বাভালিক সাধারণ শিশুর জ্ঞানস্রোতের মূল কারণের বিষয় আলোচনা করি লেই ভাল হয় । “শিশু কি প্রকার কল্পনাপ্রিয়” এই প্রবাদ সাধারণে স্বাভাবিক শিশুর প্রতি ব্যবহার করে, কিন্তু এ প্রবাদ কিছুতেই সত্য নহে । শিশুর কল্পনাপ্রিয় নয়, কারণ, তাহদের জীবন এবং খেলা, তাহার যাহা সদা দেখে তাহারই অনুকরণ মাত্র ; তাহার কার্য্যের অনুকরণ করে,কল্পিত কার্যের অনুকরণ করে না । তাহারা রেল গাড়ীর বিশ্বাসে চেয়ার একের পর আর একটা করিয়া সাজাইয়া রেলগাড়ী তৈয়ার করিয়া ঘণ্টাবধি কাল পর্য্যন্ত খেলা করে । চেয়ার সরাইয়া নিলেই রেল গাড়ী শূন্তে পরিণত হয়। পুনরায় খেলা আরম্ভ করিতে হইলে খেলোয়ারের পুনঃ নুতন গুণ সম্পন্ন নুতন বস্তু অন্বেষণ করিয়া নিতে হইবে । তাহার জীবনের নাট্যাভিনয় অতি অল্প সময়ের জন্ত । মনের ভাব স্বধু জন্মিতেছে এবং তাহাকে তাহার অল্প জ্ঞানে কার্য্যে পরিণত করিবার জন্ত বাহিরের বস্তুর সাহায্য অবশুই অন্বেষণ করিতে হইবে। যে শিশু রেলগাড়ী যাত্রীতে পরিপূর্ণ করিয়া ঘরের মধ্য দিয়া অতি ।