পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WONO) e ভিষকৃ-দৰ্পণ । [ সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ চাপ দিলে টোল খাইত ও পেটিকিৰৎ চৰ্ম্মের ইরপসনগুলি অদৃপ্ত হইত। স্ত্রীলোকটর পরিষ্কার বর্ণ হওয়াতে ইরপসনগুলি সুন্দররাপে দেখা যাইত । জজঘাক্ষেপের কোন পরিবর্তন ছিল না । জ্বরের পরিমাণ প্রৰল না হইলেও সময়ে সময়ে তাপ ২ বা ১ ডিগ্রি বাড়িত কিন্তু কখনই ১০০ a°F. এর উপর দেখা যায় নাই। হৃৎপিণ্ড স্থানে ব্যথা বোধ, বুক ধড় ধড় করা, অল্প শ্বাসকৃচ্ছ্বতা প্রভৃতি অন্যান্য লক্ষণ সকল বিদ্যমান ছিল । সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করিলেও মৰ্ম্মর শব্দ পাওয়া যায় নাই। পদদ্বয়ের উপরোক্ত স্থানীয় অস্বাভাবিক লক্ষণগুলি ও যন্ত্রণ সকল দিবসের শেষ ভাগে বাড়িত । কিন্তু যদিও রাত্রিতে শষ্যাশারী অবস্থায় থাকার ফলে এ সকলের কিছু উপশম হুইত, তত্ৰাচ রাত্রিতে শেষোক্ত –হৃৎপিণ্ডের ও শ্বাস ক্রিয়ার যন্ত্রণা সকল প্রবল হইত। এমন কি রোগিণীকে অনেক সময়ে বালিসে হেলান দিয়া বা বসিয়া রাত্রি যাপন করিতে হইত। প্রাতে সকল কষ্টই বিশেষ লাম্বধ হইত। ইহাতে মাধ্যাকর্ষণের সহিত রোগটার সংস্রব সুন্দররাপে দেখা যায় । আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, স্ত্রীলোকটী রোগের প্রারম্ভের পূৰ্ব্বে উদরন্থ শিশুর স্পন্দন সময়ে সময়ে অস্তুভৰ করিতেন । কিন্তু রোগাক্রাস্তের দুই সপ্তাহ পর হইতেই আর কোন স্পন্দন বা উদরের স্ফীতির বর্দ্ধন অনুভব করিতে পারিতেছিলেন না । সুতরাং গর্ভস্থ শিশুর औवप्नब्र विबग्न ङांशंब्र नएनाह झग्न ७ ७थां८न ডফরিন হাসপাতালের ইউরোপীয় মেয়ে ডাক্তার স্বপরিনটেনডেন্টকে দেখান হয়। ফলে ইহারও মনে সস্তানটী বাচিয়া আছে কিনা, সন্দেহ হয় । কিন্তু এতদ্বিষয় স্থির নিশ্চয় করিবার অভিপ্রায়ে স্ত্রীরোগ পারদর্শী ক্যাম্বেল হাসপাতালের ডাক্তার কেদার নাথ দাসের সহিত পরামর্শ করা হয় । ফলে কোন বিষয়ের নিশ্চয়তা স্থিরীকৃত না হওয়াতে ও সেই সময়ে কোন প্রকার সদ্যঃ চিকিৎসার আবখ্যক না হওয়াতে রোগিণীকে কিছুদিনের জন্য তৎপরবর্তী লক্ষণ সকল পরীক্ষার জন্য StoffR und er observations gfs. So এই সময় তলপেটে বেদন, জর, শিরঃপীড়া, বা বিস্বাদ প্রভৃতি কোন প্রকার বিশেষ মন্দ লক্ষণ দেখা যায় নাই । সেই জন্য যাহাতে র্তাহার মন ঐ বিষয়ে অত্যন্ত আসক্ত না থাকে ও বেশী উথলা না হয় তদ্বিষয়ে লক্ষ্য রাখিতে বলা হয় ও অনায়াসসাধ্য গৃহের লঘু কার্য্যে লিপ্ত থাকিতে পরামর্শ দেওয়া হয় । এই সময়ে পূৰ্ব্বোক্ত যে পরিমাণে উরুদেশ ও পেরিনিয়ম ফুলিয়াছিল, তাহ অপেক্ষাকৃত কম ছিল। রোগিণীকে কিছুদিনের জন্ত শয্যাশায়ী অবস্থায় রাখাই বোধ হয় এই লাঘবের কারণ ৷ বাহ বা আভ্যন্তরিক প্রয়োগের কোন ঔষধ আদৌ ব্যবহৃত হয় নাই। ইহার মুত্র সতর্কতার সহিত বারংবার পরীক্ষিত হইলেও তাহাতে অগুলাল ৰ৷ এলবুমেনের প্রতিক্রিয়া বর্তমান ছিল না । অধিকন্তু ইণ্ডিকাণের বর্তমানতা ও অকজ্যালেটের পরিমাণের বৃদ্ধি প্রতিপন্ন হয় । এনিমিয়া বা রক্তাল্পত ছিল না। রোগিণীকে পূৰ্ব্বোক্ত চিকিৎসাধীনে রাখার সময় দেখা যায়, যে, তাহার কপালের এক স্থানে সর্ষপবীজের মতন হইতে ক্রমশঃ একটী বড় মটরের মত ফুলিয়া উঠিয়াছে ও শোনা যায় তাহ