পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ ] চিকিৎসায় ব্যায়াম ও বিশ্রাম। \ENG কিন্তু যখন এই অবস্থা পুরাতন হয় তখন পেটের মাংসপেশীর জন্য এমত ব্যায়ামের ব্যবস্থা করা দরকার যেন উক্ত মাংসপেশীর স্বাভাবিক শক্তির উৎকর্ষ হয় । উপরোক্ত কোন ব্যায়ামের বন্দ্যোবস্ত করিতে পারিলেই উক্ত ব্যারামের আরোগ্য লাভের আশা করা যায় । অনেকে রীতিমত ব্যায়ামের ব্যবস্থা না করিয়া ঘোড়ায় দেীড়নের ন্যায় ব্যায়াম ব্যবস্থা করেন । তাহারও ফল একই রকম, একই ভাবে কাৰ্য্য করে। পেট ঝুলিয়া থাকায় পেটের মাংসপেশীর সদাই একটা ভার বহন করিতে হয়, সুতরাং উক্ত মাংসপেশীর বিশ্রাম দরকার। এই বিশ্রাম উদ্দেশ্যে অনেকেই বেণ্ট পরিধানের ব্যবস্থা করেন । শরীরের নানাযন্ত্রের বায়াম ও ক্রিয়ার প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া আমরা এখন তাহদের এক একটী ব্যারাম ধরিয়া বিশ্রাম ও ব্যায়ামের কাৰ্য্য দেখাইতে চেষ্টা করিব । হৃৎপিণ্ডের ব্যারাম—এই যন্ত্রের কাৰ্য্য আমাদের সম্পূর্ণ ইচ্ছাধীন নয়। ইহার কার্য্য আমরা একেবারে বন্ধ করিতে পারি না । ইহার কার্ষা একেবারে বন্ধ করিলে মানব ঠহধাম হইতে পরলোক গমন করে। কিন্তু ঔষধ প্রয়োগে বা আমাদের মনের উত্তেজনায় ইহার কার্য্যের হ্রাস বৃদ্ধি করা আমাদের আয়ত্তাধীন । হৃৎপিণ্ডের ব্যারামে হৃৎপিণ্ডকে বিশ্রাম দিবার আশায় অর্থাৎ তাহার কার্য্যের দ্রুততার হ্রাস করিবার মানসেই চিকিৎসকগণ রোগীকে সদা সৰ্ব্বদা এরূপ ভাবে জীবন কাটাইতে ব্যবস্থা করেন, যে রোগী যেন কোন সময়ই উত্তেজিত না হয়। রোগীর উত্তেজনায় হৃৎপিণ্ডের কার্য্যের আধিক্য হয় । সুতরাং হৃৎপিণ্ডের পরিশ্রমাধিক্যে হৃৎপিণ্ড দুৰ্ব্বল হইয়া পড়ে ও সময় সময় তাহার কার্য্য একেবারে বন্ধ হইতেও দেখা যায় । অনেক রোগীতে উক্ত কারণে হৃৎপিণ্ডের কার্য্য মুহর্তের জন্য বন্ধ হইতে দেখা যায় ; আর সময় সময় কোন কোন স্থলে স্থায়ী রকমে বন্ধ হইতেও দেখা যায়। অামাদের স্বাভাবিক রীতিমত ব্যায়ামে হৃৎপিণ্ডের কার্য্য ও অন্যান্য যন্ত্রের কার্য্য বিষয়ে পরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করিব । হৃৎপিণ্ডের তরুণ ব্যারামে অর্থাং বারামে হৃৎপিণ্ডের প্রথম আক্রমণে, বিশ্রাম বিশেষ দরকারী, নচেৎ রোগীর অবস্থা ক্রমশঃই খারাপ হইতে দেখা যায় । কেন না রোগের গতি বন্ধ করিবার জন্য হৃৎপিণ্ডের স্বতঃ চেষ্টার উপরে যদি আমরা তাহাকে আরো উত্তেজিত করি তবে অধিক পরিশ্রমে তাঙ্গার অবসাদ আসাই প্রকৃতির নিয়ম মাত্র । আমাদের ভাষায় একটা প্রবাদ অাছে যে “মরাকে আর মারিয়া কি হইবে” অর্থাৎ যে হৃৎপিণ্ড তাহার ব্যারামের গতিরোধ ও আরোগ্য লাভের আশায় প্রকৃতির নিয়মাকু সারে তাহার সঞ্চিত-শক্তির সহিত কাৰ্য্য করিয়া ক্লান্ত বোধ করিতেছে তাহাকে পুনঃ যদি আবার তাহার শক্তির অতিরিক্ত কাৰ্য্য করিতে বাধ্য করা যায় তবে তাহার ফল যে বিষময় হয় তাহার অাঁর কোনই সংশয় নাই । এই সময়ে তাহাকে বিশ্রাম দিলে তাহার শক্তির হ্রাস না হইয়া বরং বৃদ্ধি হুইতে পারে। এতং উদ্দেশ্রে তরুণ হৃৎপিণ্ডের ব্যারামে রোগীকে বিছানায় শোয়াইয়া রাখিতে হয় কোন রকম উত্তেজনার কার্য্যে রোগীকে যোগ দিতে পুনঃ পুনঃ নিষেধ করা হয় এবং তাহাকে এমন কোন ঔষধ দিতে হয় না যাহা হৃৎপিণ্ডের উপর উত্তেজনার কাৰ্য্য করে । উক্ত মত অমুসরণ করিয়াই হৃৎপিণ্ডের ব্যারামে, যে পর্যান্ত হৃৎপিণ্ড তাহার স্বাভাবিক কাৰ্য্য করিতে অক্ষম না হয় ( অর্থাৎ যখন তাহার কম্পেনসেসন ফেল না হয় ) সেই পৰ্য্যন্ত হৃৎ পিণ্ডের বলকারক ঔষধ (হার্ট টনিক), যথা ডিজিটেলিস, পেনথাসূ ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ । ফুসফুসের ব্যারাম।—ফুসফুসের ব্যারাম ও হৃৎপিণ্ডের ব্যারামের ন্তায় তরুণ অবস্থায় বিশ্রাম ও পুরাতন অবস্থায় ব্যায়াম उ”कोझैँ । निउँभनिब्रा, उक्र अज्ञाहेन्,ि