পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ ] চিকিৎসায় ব্যায়াম ও বিশ্রাম । ৩৫৭ নিশ্চয়ই ফলিবার আশা করা যায় । এই জন্য এই সমস্ত রোগীর ব্যায়ামের সময় চিকিৎসকের উপস্থিত থাকা একান্ত বাঞ্ছনীয় । উপরোক্ত চিকিৎসালয়েও এই প্রকার প্রণালীতেই কার্য্য চলিতেছে । ব্যায়ামের পক্ষপাতী চিকিৎসকগণ এখন আরো বলেন যে,এই চিকিৎসার ফল পুৰ্ব্ব প্রণালীর চিকিংসার ফল হইতে অনেক ভাল অর্থাৎ আধু নিক চিকিৎসার ফলে যহ্মার মৃত্যু সংখ্যার অনেক হ্রাস হইয়াছে । ফুসফুসের এস্পাইম বারামে ও বহুদিন যাবতই ফুসফুসের ব্যায়ামের উপকারিত সম্বন্ধে অনেকে অনেক মত প্রকাশ করিয়াছেন । এই এস্পাইমা ব্যারামে অস্ত্র চিকিৎসার পর যখন ফুসফুস কুঞ্চিত হইতে থাকে বা হয়ে যায় তখন, অনেকে তাহার পুর্বর ন্যায় স্বাভাবিক অবস্থায় আনিবার উদ্দেশ্যে রোগীকে নানা প্রকার বঁাশী বাজাইতে দেন । তাহাতে অনেক সুফলও পাওয়া যায়, এমন কি সময় সময় রোগী প্রায় সম্পূর্ণরূপে ভাল হয় ও উক্ত ফুসফুস ও প্রায় সুস্থ ফুসফুসের দ্যায় কাৰ্য্য করিতে আরম্ভ করে । ফুসফুসের পুরাতন ব্যারামে ব্যায়ামের সুফলের বিষয় আজ কাল প্রায় সমস্ত চিকিৎসকই একই মত প্রকাশ করেন । 臀 কিডনি, যকৃত, প্লীহা, পাকস্থলী, অস্ত্র ইত্যাদি সমস্ত পেটের ভিতরের যন্ত্র সমুহের কার্য্যে সম্পূর্ণ বন্ধের উপর আমাদের ততটা হাত নাই, তবু তাঁহাদের কার্যের হ্রাস বৃদ্ধি করিতে আমরা সক্ষম । শরীরের সাধারণ ব্যায়ামে ইহাদের কার্যের কি প্রকার সহায়তা করে তাহ পরে উল্লেখ করা যাইবে । রোগীর বাহের ব্যারামে অনেক সময় দেখা যায় যকৃত অার কার্য্য করিতে পারিতেছে না—বাহোর রংএই তাহ প্রকাশ পায় । সেই সময়ে যকৃতের কার্য্যের জন্ত ঔষধাদি ব্যবহার না করিয়া তাঁহার বিশ্রামের জন্তই ব্যবস্থা করা নিতান্ত দরকার, তখন রোগীকে যকৃতের ক্ষরণ সাহায্য ব্যতীত সহজ পরিপাকোপযোগী আহার দেওয়া • কর্তব্য ও রোগীকে বিশেষ কোন পরিশ্রম করিতেও দেওয়া উচিত নয় কিন্তু যকৃতের অসুখ যখন পুরাতন হয় তখন যে সব ঔষধ যকৃতের ক্ষরণ কার্য্যের সহায়তা করে সেই সমস্ত ঔষধই দেওয়া কৰ্ত্তব্য । o পাকস্থলী —পাকস্থলীর তরুণ প্রদাহে তাহার বিশ্রাম দেওয়া একান্ত কৰ্ত্তব্য, নচেং পাকস্থলীতে ক্ষত ও পরবর্তী অন্যান্য ব্যারামের স্বষ্টি হওয়ারই বিশেষ আশঙ্কা দেখা যায় । কলেরা, ডায়েরিয়া ও অন্যান্য তরুণ ব্যারামের পর আহার এমন হওয়া দরকার যে, পাকস্থলীকে বিশেষ কোন কাৰ্য্য করিতে না হয়, নচেৎ তাহার বিষময় ফল সচরাচরই দেখা যায়। অন্ত্রের চিকিৎসাও পাকস্থলীর ন্তায় করিতে হয় । কিডনি ।—কিডনির তরু প্রৈিহ ( একুইট, নিষ্ক্রাইটিসে ) বিশ্রামই একমাত্র চিকিৎসা । এই তরুণ অবস্থায় যদি মুত্রকারক ঔষধ ব্যবহার করা যায় বা রোগীকে বিশেষ পরিশ্রম করান যায় তবে তাহার কুফল অবশুই ইষ্টবে। তখন কোন মূত্রকারক ঔষধই ব্যবহার নিষিদ্ধ ; বিশ্রাম একান্ত কৰ্ত্তব্য বোধে রোগীকে কখনও বিছানা ত্যাগ করিতে দেওয়া উচিত নয়, এমনকি রোগীকে অধিক জল বা জলীয় পদার্থও পান করিতে দেওয়া উচিত নয়। দুই চারি দিন পরে যখন তাঁহার তরুণত্ব ক্রমেই হ্রাস ইইয়া আইসে তখন আস্তে আস্তে অল্পমাত্রায় মূত্রকারক ঔষধের ব্যবস্থা করা যাইতে পারে কিন্তু যখন, ব্যারাম পুরাতন হয় অর্থাৎ ক্রনিক নিফ,াইটিসে, তখন মূত্রকারক ঔষধেরই ব্যবস্থা প্রশস্ত ও বিশেষ উপকারী । তখন রোগী ও কিডনিকে একেবারে বিশ্রাম দিলে তাহাতে কোন সুফল ন ফলিয়া বরং কুফলই ফলিতে দেখা যায় । স্নায়বিক যন্ত্র ।—ইহাতেও বিশ্রাম ও ব্যায়াম আবশুকীয় । যে সমস্ত ব্যারামে प्रोङ्क ७८ख्छन। इङ्ग–७त्रि८शश्रनि, शीिडेब्रिङ्ग