পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سb 6 ؛ہ ভিকৰ্ণপণ | [ সেপ্টেম্বর, >న eసి ফিট, কনভালসন ইত্যাদি—তাহাতে রোগীকে আমরা কি ঔষধ সেবন করিতে সচরাচর ব্যবস্থা দেই ? নানাপ্রকার ব্রোমাইড ই তাহাতে প্রশস্ত ; মস্তকে বরফ, ঠাণ্ডা জল ইত্যাদিও ব্যবহার হয় । এই সমস্তই স্নায়বিক যন্ত্রকে বিশ্রাম স্থলে যাইতে সাহায্য করে। যে পৰ্য্যস্ত বিশ্রাম আমরা না দিতে পারি সেই পৰ্য্যস্ত রোগীও ভাল বোধ করে না ও আরোগ্য লাভও করিতে পারে না । আর যখন আমাদের স্নায়বিক শিরা শুকাইয়া যাইতে চায় বা শিরায় পুরাতন প্রদাহ হয় তখন আমরা সাধারণতঃ ত্বরিত স্রোত ব্যবহার করি এবং যাহাতে উক্ত শিরা উত্তেজিত হইয়া কাৰ্য্য করে ; এই কাৰ্য্য করিতে করিতে অনেক সময় দেখা যায়, সেই শিরা স্বাভাবিক অৰহ্লায় পুনঃ আইসে ও স্বাভাবিক ভাবে পুনঃ কৃাৰ্য্য-করিতে আরম্ভ করে । আমাদের সমস্ত অঙ্গ ও যন্ত্রের সম্বন্ধ কিরূপ গুঢ় ভাবে রচিত তাহা চিকিৎসক মাত্রেই জানেন । শরীরের যে কোন অঙ্গেরই কেন অসুখ না হউক, অন্যান্য অঙ্গ আস্তে জাস্তে সেই অসুখে অসুস্থ হইয়া পড়ে । পাকস্থলীর, হৃৎপিণ্ডের, যকৃতের ইত্যাদির সমস্ত যন্ত্রের ব্যারামের বিষময় পরিণাম সকলেই জানেন। এই ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধের বিষয় বিস্তারিতরূপে বর্ণনা করা এ প্রবন্ধের উদ্দেশু। নহে ; তবে ব্যারাম সৰ্ব্বশরীরের উপর কি প্রকার কার্য্য করে তাহা সরল ভাবে বুঝাইলেই ব্যায়ামের আবশুকতা ও সুফলের বিষয় জানা যাইবে । আমাদের দেশে পুৰ্ব্বে কি কি ব্যায়াম প্রশস্ত ছিল এবং এখনই বা কি কি ব্যায়াম প্রশস্ত আছে এ বিষয়ে একটু জানা দরকার । আমাদের বাল্য বয়সে নিম্নলিখিত ব্যায়াম করিতে দেখিয়াছি । যে ব্যায়াম যত অধিক ব্যবহার হই ত সেই অনুসারে তালিকা দেওয়া গেল—ডুগুডুগু গোল্লাহ্রইট, বেট বল, লুকাচুরী, ফুটবল । কিন্তু আমাদের বাল্যবস্থার পুৰ্ব্বে লাঠিখেল, তলোয়ার খেলা, বৈটখারী, মুদ্রগর ঘুরাণ ইত্যাদির ব্যবহার ছিল । এখন ফুটবল, ৰেটবল ব্যতীত আর কোন বায়াম অতি বিরলই দেখা যায় । যদিও প্রত্যেক স্কুলে ব্যায়ামের জন্য পেরালাল বার, হরাইজণ্টেল বার ইত্যাদির ব্যবস্থা আছে তবু আমার অভিজ্ঞতাব ফলে আমি বলিতে পারি যে, স্কুলের অতি অল্প বালকই তাহার সাহায্য লয় । এই সমস্ত ব্যায়াম করিতে পয়সার আবশুক কিন্তু ডুগুডুগু ইত্যাদি বায়ামে কোন ব্যয় নাই অথচ সৰ্ব্বাঙ্গের ব্যায়াম সাধিত হয় । আমার বিশ্বাস উপরোক্ত সমস্ত ব্যায়ামের মধ্যে ডুগুড়গুই শ্রেষ্ঠ ; তৎপরে লাঠী খেলা ইত্যাদিই ভাল । বারের ব্যায়ামে সৰ্ব্বঙ্গের ব্যায়াম সাধিত হয় না,কিন্তু আমাদের সর্বাঙ্গের ব্যায়ামই দরকার নচেৎ কোন কোন অঙ্গের বিকৃতি সাধিত হইয়। থাকে । আমি দেখিয়াছি যে, যে বালক পেরালাল বারে ব্যায়াম সাধিত করে, তাহার হাত সুপুষ্ট ও বিশেষ বলবান হয় কিন্তু অন্যান্য অঙ্গ সেরূপ কিছুই হয় না, বরং তাহার অনুপাতে অন্যান্য অঙ্গ দুৰ্ব্বল বলিয়া বোধ হয় । ব্যায়ামের অভাবই যে ভারতবাসীর বিশেষতঃ বাঙ্গালীর শারীরিক অবনতি ঘটিতেছে তৎসম্বন্ধে আর সন্দেহ নাই।