পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবেম্বর, ১৯e৯ ] ম্যালেরিয়া । ৪১১ শক্তির উৎকর্ষ সাধন করিতে পারিলে মানবজাতিকে ব্যারাম ৰিশেষতঃ মেলেরিয়া ব্যারাম হইতে অব্যাহতি দেওয়া যাইতে পারে । কিন্তু ইহার সঙ্গে সঙ্গে মেলেরিয়ার প্লেজম এবং তাহার বহনকারীদের ধ্বংসের জন্ত ও নানা উপায় অবলম্বন করা উচিত ; তাহার আর সন্দেহ নাই । যদি সমস্ত স্থান স্বাস্থ্যাগারে পরিণত করা যায়, তবে ব্যারাম জীবাণুর উৎপত্তি ও সংসারে প্রতিপত্তি লাভ করা অতি দুরূহ হইবে, তাহার সংশয় নাই। এই সমস্ত ব্যারামের জীবাণু অস্বাস্থ্যকর স্থান ব্যতীত অন্তর কোথাও জন্মিতে পারে কিনা, সন্দেহ । জন্মিলেও তাহারা স্বাস্থ্যকর স্থানে স্থিত ব্যারাম প্রতিরোধক শক্তিতে উৎকর্ষান্বিত মানবের দেহে ব্যারাম উৎপন্ন করিতে সক্ষম হইবে কিনা, তাহাও সন্দেহ এবং যদিও দুই এক জনের উপর ব্যারাম উৎপন্ন করিতে সক্ষম হয় তথাপি ইহা দৃঢ়তার সহিত বলা যায় যে, তাহারা সংক্রামক হইতে পরিবে না। এই বিষয়ে আর অধিক আলোচনা করা নিম্প্রয়োজন । - ৩। ব্যারামে,বিশেষতঃ ম্যালেরিয়া জ্বরের সময় চিকিৎসা ঃ— এই তৃতীয় স্তর নিয়াই সাধারণতঃ সাধারণ চিকিৎসকগণ ব্যস্ত থাকেন । ব্যারামের সময় (১) বারামের জীবাণুর বা বিষের ধ্বংস কর, (২) মানবশরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রকৃতির অনুরূপ করিয়া কাৰ্য্যক্ষম করা (৩) সময় সময় ঔষধ ও জল বায়ু পরিবর্তন দ্বারা শরীরের ব্যারাম প্রতিরোধক শক্তির উৎকর্ষ সাধন করিয়া রোগীকে ব্যারাম হইতে আরোগ্য করিবার জন্ত প্রয়াস পাওয়া। যদি এই তিন প্রকারের চেষ্টাই বিফল হয় তবে রোগীর মৃত্যু অনিবাৰ্য্য। মেলেরিয়া জরে সাধারণ চিকিৎসা প্রণালী মোটামুটী বর্ণনা করিয়া পরে মেলেরিয়া বিভাগামুসারে বিশেষ ভাবে বর্ণনা করিতে ইচ্ছা করি । মেলেরিয়া জর আসিবার পূৰ্ব্বে, যখন শরীর অসুখ অসুখ বোধ হয় অথবা রোগী শরীরের বেদনা অনুভব করে, তখন একমাত্রায় । কুইনাইন ১০ গ্রেণ ও ব্রাণ্ডি এক ডাম সেবন করিলে সময় সময় জরের আক্রমণ হইতে রক্ষা পাওয়া যায় ; কিন্তু যখন জর আসিয়া পড়ে তখন আর ইহাতে কোনই ফল হয় না । বরং ইহাতে রোগীকে আরও কষ্ট দেয় । জরের আক্রমণের সহিত কুইনাইন সেবনে শরীরে গত্রজীলা বেশী হয়, তাহার আর সংশয় নাই । কিন্তু কেন যে এই জালাধিক্য হয়, তাহ বলা যায় না । আমার বিশ্বাস জলাগমে তাহার । প্রতিরোধ করিতে গেলে যেমন জলের বেগের আধিক্য দেখা যায়, সেই প্রকার জরাগমনে রোগজীবাণুর ধ্বংস করিয়া জন বন্ধ করিতে যাওয়াই শরীরে জ্বালাধিক্যের কারণ। যখন মেলেরিয়া জর আইসে তখন রোগীর শীত বোধ হয় ও শরীর কম্পবান হয় । রোগীর শীত ও র্কাপুনি কিছুতেই বন্ধ করা যায় না। যত গরম কাপ দুই কেন তাহার শরীরে চাপাইয়া দেওয়া হয় শীত ও কম্পন কিছুতেই বন্ধ হয় না। রোগীর তৃষ্ণ নিবারণের জন্ত নেবুর রস লুবণাক্ত জলে পান করিলে যে প্রকার স্বস্বাছ ও মুফলপ্রদ হয় তেমন আর অন্ত কিছু পানে হয় না । জর আগমনের মুখে সাধারণতঃ নানা বিরেচক ঔষধ দেওয়া উচিত नग्न । उबव्र घर्ष हहेब्रां वश्वन ऊIांशं इहेड 5 t