পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२8 না । ডাঃ হার্টার বলেন যে মাংসাশীর অন্ত্র মধ্যে অনেক জীবাণুর ডিম্ব বা Spores মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই সব জীবাণু যদি কোন জন্তুর চৰ্ম্মনিম্নে স্বচ্যগ্র দ্বারা প্রবেশ কমন হয় তাহা হইলে রোগ জন্মায়। কিন্তু এই সব জীবাণু যদি নিরামিষভোজীর অন্ত্র হইতে লইয়। ঐরুপভাবে প্রবেশ করান হয় তাহা হইলে রোগ জন্মায় না । চিটেনডেনের এই মত লইয়া ইয়োরোপ ও আমেরিকা প্রদেশে ৰিস্তর তর্ক ও মতভেদের স্থষ্টি হইয়াছে । অধ্যাপক হালিবার্টন চিটেনডেনের যুক্তি সকল খণ্ডন করিয়৷ নিম্নলিখিত মত প্রকাশ করিয়াছেন । (১) যে সব ব্যক্তির উপর চিটেনডেন পরীক্ষা করিয়াছিলেন সম্ভবতঃ তাহারা খুৰ ৰেণী খাইত এবং তাছাদের নিয়মিত ব্যায়ামে ও নিয়মিত খাদ্যে বিশেষ উপকার হইয়াছিল কিন্তু কম হারে চিরদিনের জন্য প্রটিড খাইতে দেওয়া যুক্তিসিদ্ধ নহে। ইহার প্রমাণ যে সৰ ৰ্যক্তির চিটেনডেনের পরীক্ষার জন্য কম হারে প্রটিড খাইতেছিল তাহারা পরীক্ষার अबjवहिङ •८ब्रहे श्रांबांद्र शूर्तिकांब्र भड খাইতে আরম্ভ করে । (২) পৃথিবীর ইতিহাস পাঠ করিলে জানা যায়, যেখানে মাংস সহজে পাওয়া যায়, মানুষ সেই সব স্থানে মাংস বেশী মাত্রায় খায় এবং প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় পৃথিবীর মাংসাশী মানুষের জগতের মধ্যে শ্ৰেষ্ঠ ৰলিয়া পরিগণিত হয় । , (०) बहनिन बjां★ौ न्ब्रांशंद्र अंद्रौcनब्र পক্ষে অত্যন্ত অপকারী । চিটেনডেনের ভিষকৃণাপণ । নিরামিষাশী জীবের মধ্যে পাওয় बांब्र [ নবেম্বর, ১৯০৯ নিজের পরীক্ষার ফল সকল বিশেষ করিয়া লক্ষ্য করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে কতকগুলি ক্ষেত্রে স্বল্পাহারী ব্যক্তিদের মধ্যে খাদ্য দ্রব্যের শোষণের ক্ষম তার বিশেষ হ্রাস হইয়াছিল । - (৪) যদিও চিটেনডেনের মতে প্রটিডের বিশ্লেষণ হইতে যে সকল নাইট্রোজেনাসূ পদার্থ উৎপন্ন হয় তাহ। .বশী মাত্রায় শরীর হইতে বহির্গত হইয়া যায় তথাপি এই সকল পদার্থ জীবতত্ত্ব সকলের পুনৰ্নিৰ্ম্মাণের পক্ষে অত্যন্ত মূল্যবান। o (৫) ইহ, বেশ দেখা গিয়াছে যে, আমাদের রোগ প্রতিষেধ ক্ষমতা শ্বেত কণিকার অবস্থার উপর ও রক্তের জলীয়াংশের opsonic ক্ষমতার উপর নির্ভর করে । (৬) চিটেনডেনের পরীক্ষিত কতকগুলি ব্যক্তি শীতকালে অত্যন্ত সর্দি রোগে ভুগিয়াছিল । আমরা উপরে দুই পক্ষের আমিষ পক্ষের । এবং নিরামিষ পক্ষের—যুক্তির স্বারার পাঠকবর্গকে জানাইলাম , আমাদের এ বিষয়ে লিখিবার একটি বিশেষ উদ্দেশু আছে। বাঙ্গালী চিরকাল মাংস বা প্রটিড জাতীয় খাদ্য অত্যন্ত কম খায় । এই কম প্রটি.ড শরীরের কোন অপকার সাধিত হয় কিনা সে বিষয়ে অধ্যাপক ম্যাকে—ইনি কলিকাতার মেডিকেল কলেজের শারীরতত্ত্ব বিজ্ঞানের অধ্যাপক কিছুকাল হইতে বাঙ্গালীর শরীর পোষণ ও বাঙ্গালীর খাদ্য লইয়া বিশেষ অনুসন্ধানে ব্যাপৃত আছেন । ইগর গবেষণার ফল আমরা বারাগুরে আলোচনা করিৰ ।