পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবেম্বর, ১৯০৯ ] বিবিধ তত্ত্ব । 8-09 উক্ত যন্ত্রের নিম্নাংশে আসিলে জীর্ণ হইয়া যায় । সুতরাং সেষ্ট স্থানের শ্লেষ্মা আর মলের সহিত দেখিতে পাওয়া যায় না । পীড়া প্রবল কি মৃদ্ধ প্রকৃতির তাহ শ্লেষ্মার পরিমাণের নুনধিক্য দেখিয়া কখন ইহা নিশ্চিতরূপে স্থির করিতে পার! যায় না । ২ । পূয় ও রক্ত –পুত্র আর টাটুকী রক্ত সাধারণতঃ বৃহদস্ত্র হইতে আইসে । পীড়ার স্থান সিগমোইডস্কোপ দ্বারা দেখা যাইতে পারে। এই যন্ত্র আমাদের নাই । সুতরাং ইহার আলোচনাও নিম্প্রয়োজন । উৰ্দ্ধাংশ হইতে শোণিত আসিলে তাহ ওয়েবারির প্রণালীতে পরীক্ষা করিতে হয় । ৩ মল —মল যদি নিয়ত তরল হয় এবং তাহাতে দুর্গন্ধ থাকে তাহা হইলে বুঝিতে ইহবে যে,কোন প্রকার যান্ত্রিক পীড়া বর্তমান আছে । দুর্গন্ধ যুক্ত তরল মল অনেক সময় অজীর্ণ পীড়ায় দেখিতে পাওয়া যায় । পরম্পরিত ভাবে অন্ত্রের প্রদাহ জন্ত মল এই অবস্থা প্রাপ্ত হয় । কিন্তু মলের অবস্থা নিয়ত স্থায়ী হয় না । প্রদাহগ্ৰস্ত অন্ত্রের শ্নৈয়িকঝিল্লির অস্তুলালীয় স্রাবের পচন জন্তই ঐরুপ দুর্গন্ধের উৎপত্তি হইয়া থাকে। কোন কোন বিশেষ পীড়ার সংক্রমণ জন্য যে মলের এইরূপ অবস্থা উপস্থিত হয় তাহ বাদ দিতে হইবে । যেমন টিউবার কিউলোসিস, ডিসেণ্টী, কিম্বা কতকগুলি ব্যাপক পীড়া যেমন-ইউরিমিয়া, গ্রেবের পীড়া, পচন দোষ ইত্যাদি, অথবা শারীর বিধানের কোন কোন বিশেষ পীড়া যেমন— কাসিনোমা, এমাইলোডোসিস ইত্যাদির মল এতৎসহ আলোচ্য নহে, কারণ অন্ত বিশেষ লক্ষণ ব্যতীত যে স্থলে অতিসারের লক্ষণ প্রধান থাকে, তাহাই আলোচ্য বিষয় । এই শ্রেণীর পীড়ার স্পষ্টতঃ তিনটী শ্রেণী বিভাগ করা যাইতে পারে। যেমন— (১) উৎসেচনজ অজীর্ণ পীড়া — শর্করান্তক পদার্থ পরিপাক না হওয়ায় এই উৎসেচন ক্রিয়ার উৎপত্তি হয়। এই শ্রেণীর মলের লক্ষণ অতি সামান্ত—সমস্ত দিনে কয়েক বার মল নির্গত হয়, এই মল তরল, উজ্জ্বলবর্ণ বিশিষ্ট, অন্নধৰ্ম্মাক্রান্ত, বায়ুজ বুদবুদ সংযুক্ত, এবং ইহা উৎসেচন ক্রিয়ার ফল মাত্র । অণুবীক্ষণ সন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করিলে ইহাতে অসংখ্য শ্বেত কণিকা দেখিতে পাওয়া যায় । মধুমুত্র পীড়াগ্রস্ত লোককে যেরূপ নির্দিষ্ট আহার ব্যবস্থা করা হয়, তদ্রুপ পথ্যে এই রূপ অতিসার বন্ধ থাকে। এবং যখনি শাকসবজী বা তদ্রুপ পদার্থ ভক্ষণ করে, তখনি অতিসার লক্ষণ পুনৰ্ব্বার দেখা দেয় । সত্ত্বরই হউক বা কিছু বিলম্বেই হউক এই জন্য পীড়ার পরিণামে অস্ত্রপ্রদাহ উপস্থিত হয় । এইরূপ রোগী অগুলালিক ও মেদময় পদার্থ ভক্ষণ করিলে মলের সহিত শ্লেষ্মা নির্গত হইতে থাকে পীড়ার এইরূপ লক্ষণ দৃষ্টে আমরা তখন ইহাই অনুধাবন করিতে পারি যে অজীর্ণ শ্বেতসার মল সহ নির্গত হইতেছে । (২) পাকস্থলীর অজীর্ণজ অতিসার । এই শ্রেণীর পীড়ায় পাকস্থলীয় পরিপাক কার্য্য ভালরূপে সম্পন্ন হয় না । মাংস থাইলে তাহাঙ্গী হয় না । মাংসের সহিত অৰ্দ্ধ সিদ্ধ বা অৰ্দ্ধ দগ্ধ মাংসপেশীতন্তু পাকস্থলীতে পরিপাক হয় না । অজীর্ণ মাংস পচিয়া উঠে,পচা মাংসের সংযোগ তত্ত্বর উপর