পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডিসেম্বর, هذه جلا [ ম্যালেরিয়া । 84న সরকাবি মিক্‌চার ম্পিলিন দেওয়া হয় । রোগীর অবস্থাও অনেক পরিবর্তন হয় । আস্তে আস্তে কথার অস্পষ্টতাও কমিয়া যায় । এই ১৭১৮ দিন পর একদিন হঠাৎ রোগীর পুনঃ ১০৩. ফাঃ জর হয় ও পাতলা বাহ হয় কিন্তু রোগীর জ্ঞান লোপ হয় না । রোগীর মাথায় অত্যন্ত যন্ত্রণ হয় । তখন তাহাকে পাচ গ্রেণ এণ্টিফেব্রিন ১ ড্রাম রম ও ৫ গ্ৰেণ কুইনাইন দুই তিন বার দেওয়া হয় ৷ পর দিন প্রাতে রোগী বিজর হয় ; তখন তাহাকে পুনঃ দুই বার পূৰ্ব্বোক্ত মাত্রায় কুইনাইন ও রম দেওয়া হয় । এবারে তাহার জর মোটে দুই বার হয় । এখন সে ভাল আছে। প্রত্যহ তাহাকে দুই দাগ করিয়া কুইনাইন ও রম দেওয়া হয় । এবারে রোগী তত দুৰ্ব্বল হইয়া পড়ে নাই ; প্রলীপও বকে নাই এবং অজ্ঞানও হয় নাই । এই সমস্ত রোগীর ভাব ফল বড় ভাল নহে । ইহারা যে মেলেরিয়ার রোগী, তাহার সন্দেহ নাই । এই শ্রেণীর রোগী যদি ৩/৪ দিনের মধ্যে মৃত্যুমুখে পতিত না হয় তবে সেই যাত্রায় তাহাদের প্রাণ রক্ষা হওয়ার আশা করা যাইতে পারে। এই সমস্ত রোগীর রোগ নির্ণয় একান্ত কৰ্ত্তব্য । নচেৎ তাহাদের চিকিৎসার বিভ্রাট হয় ও তাহার মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এই শ্রেণীর রোগীর উদাহরণ অনেক দেওয়া যাইতে পারে কিন্তু তাহ লিপিবদ্ধ করিয়া প্রবন্ধের আয়তনের বৃদ্ধি করা আবশুক মনে করি না। প্রত্যেক রোগীর চিকিৎসা এক নিয়মে করা যায় না । অবস্থা, সময় ও রোগের প্রকোপামুযায়ী চিকিৎসারও বিভিন্নতা অনিৰাৰ্য্য। ৩ । মেলেরিয়া কেকেক্‌সিয়াঃএই বিভাগের রোগীর চিকিৎসা সম্বন্ধে আর অধিক বর্ণনা করা বিশেষ দরকার বোধ করি না । তবে ইহা বলা যায় যে, এই শ্রেণীর রোগীর চিকিৎসার সময় রোগীর যকৃতের বিষয় মনে রাখা একান্ত দরকার । যকৃৎ একেবারে নষ্ট না হইবার পূৰ্ব্বে তাহার আরোগ্যের জন্ত বিশেষ চেষ্টা করা দরকার । সমস্তের যকৃতই বৃদ্ধি পায় না । কখন কখন যকৃৎ বৃদ্ধি পায় না, অথচ যকৃতের কার্য্য একেবারে বিকৃতি হইয়া যায় । অনেক সময়েই প্রথম ' যকৃৎ বৃদ্ধি পায়, পরে কুঞ্চিত হয় । এই শ্রেণীর রোগীর চিকিৎসা সম্বন্ধে বিশেষ নুতন বক্তব্য নাই । তবে ইহা সাহস করিয়া বলিতে পারি যে, ইহাদের ব্যায়ামের বন্দোবস্ত করা একান্ত কৰ্ত্তব্য । অার এই ব্যারামাদির বন্দোবস্ত করিতে যদি না পারা যায় তবে তাহাদের জীবনের আশাও অতি অল্প। এই শ্রেণীর রোগীর স্থান পরিবর্তনেও সময় সময় ভাল ফল হয়। স্থান পরির্তনে পাঠাইতে হইলে এমত স্থানে ইহাদের পাঠান দরকার, যে স্থানে রোগীর বাহ পরিষ্কার হয়, ক্ষুধা বৃদ্ধি হয় ও জল বায়ু ভাল । আমাদের দেশে এখন কথায় কথায়ই স্থান পরিবর্তনের জন্ত পরামর্শ দেওয়া হয় । কিন্তু তাহ কোন অবস্থায় উপযোগী তাহ বিশেষ বিবেচ্য। সমস্তের এক জায়গায় উপকার হয় না । ভিন্ন ভিন্ন রোগীর শারীরিক বিভিন্নতানুসারে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে উপকার হয়, তাহার সনোহ নাই। আমাদের দেশের অবস্থা এখন এমন শোচনীয় হইয়াছে যে, আমার বিশ্বাস, যে, মধ্যবিধ লোকের অতি অল্প লোকেই এই