পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডিসেম্বর, ১৯ e৯ ] বিবিধ তত্ত্ব । 8Ꮼ☾ ভিষকদপণে বিশেষরূপে অালোচনা করা হইয়াছে। পাঠক মহাশয়গণ তৎ সমুদয় মনোযোগ সহ পাঠ করিলে বুঝিতে পারিবেন যে, উরট পিনের কার্য্যক্ষেত্র ক্রমেই বিস্তৃতি লাভ করিতেছে । প্রসবাস্তে জর এবং তৎসহ আবে দুর্গন্ধ হইলে কুইনাইন, আর্গট সহ উরট পিনের । প্রয়োগ অনেক দিবস আরম্ভ হইয়াছে এবং অামি তন্দ্রপ কয়েক স্থলে প্রয়োগ করিয়া ঔষধের সুফল প্রত্যক্ষ করিয়াছি—অল্প সময় মধ্যে স্রাবের দুর্গন্ধ এবং জর হ্রাস হয় অর্থাং শ্রাবের পচনোৎপাদক রোগজীবাণু বিনষ্ট হওয়ায় পচন দোষ নষ্ট হয় । রোগিণী সত্বরে আরোগ্য লাভ করে । অন্ত্রিক জরের রোগী জর হইতে নিস্কৃতি লাভ করার পরেও অনেক দিবস পর্য্যন্ত রোগাস্তের দুৰ্ব্বলতা ভোগ করে । এই সকল রোগীর পিত্তস্থলীতে আন্ত্রিক জরের রোগজীবাণু বৰ্ত্তমান থাকে । সুতরাং রোগীর মলসহ রোগজীবাণু পরিচালিত হয়। এইরূপ রোগীর দেহ আন্ত্রিক জ্বর-রোগজীবাণুর আধাস স্থল এবং বংশবৃদ্ধি ও বিস্তৃতির কারণ রূপে অনেক দিবস পর্য্যস্ত কাৰ্য্য করে । এইরূপ একটা রোগীর দ্বারা বহু বৎসর যাবৎ বহু স্থানের অনেক লোক অান্ত্রিক জর দ্বারা আক্রান্ত হইয়া থাকে । বহু পরীক্ষা দ্বারা এই সিদ্ধান্ত সপ্রমাণিত হইয়াছে। কিন্তু এই রোগীকে যদি অনেক দিবস পর্য্যন্ত উরটুপিন সেবন করান যায়, তাহা হইলে তাহার পিত্তস্থলীতে আর আন্ত্রিক জরের রোগজীবাণু বাস করিতে পারে না । সুতরাং তাহা দ্বারা আর বোগে বৃদ্ধি ব| ৰিস্কৃতি হইতে পারে না । সে আর সাধারণের ভয়ের পাত্র বা বিপদের কারণ রূপে পরিণত হয় না। ইহা উরটুপিনের একটী বিশেষ আময়িক প্রয়োগস্থল। এইরূপে উরটপিন প্রয়োগে যে কেবল যাত্র পিত্তস্থলীস্থিত আন্ত্রিক জ্বরের রোগজীবাণু বিনষ্ট হয়, তাহ নহে, পরন্তু তত্রস্থিত অপরাপর রোগজীবাণুও दिनछे झग्न । আমেরিকার জোনসহপকিনস হস্পিটালে উরট পিনের ক্রিয় সম্বন্ধে বিশেষরূপ পরীক্ষা করা হইয়াছে । উক্ত পরীক্ষায় ইহাই সিদ্ধাত্ত করা হইয়াছে যে, উরটুপিন মুখপথে সেবন করাইলে উক্ত ঔষধ শোষিত হইয়া এক ঘণ্টার মধ্যে মস্তিস্কেয়মেরু মজ্জার রসে উপনীত হয়, ও তথায় কোন প্রকার রোগজীবাণু বৰ্ত্তমান থাকিলে তাহ বিনষ্ট করে এবং আর কোন . অভ্যাগত রোগজীবাণুকেও তথায় প্রবেশ করিতে দেয় না । পরিপাক যন্ত্র হইতে ঔষধ শোষিত হওয়ার সময়ের উপর মেরুমজ্জার রসে উরট পিন উপস্থিত হওয়ার সময় নির্ভর করে । ১০ গ্রেণ উরট পিন মুখ পথে প্রয়োগ করিলে তাহ পাকস্থলী হইতে শীঘ্ৰ শোষিত হইলে অদ্ধ ঘণ্টার মধ্যেই উক্ত ঔষধ মস্তিক্ষেয় মেরুমজ্জার রসে প্রাপ্ত হওয়া মাইতে পারে । সাধালণতঃ মস্তিষ্কেয়মেরুমজ্জার রসের রোগজীবাণু নাশক কোন ক্ষমতা থাকে না । কিন্তু উরটপিন সেবনের পর উক্ত ক্ষমতা প্রাপ্ত হয় । এই রসে ষ্ট্রেপ্টোকোকাস প্রভৃতি রোগজীবাণু বৃদ্ধি হইতে পারে না । পরীক্ষা করিয়া ইহা দেখা হইয়াছে যে, মস্তিষ্ক আৰরক ৰিল্লির প্রদাহ হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তাহার প্রতিৰিধান জন্ত । {}