পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88२ ভিষক-দৰ্পণ । । ডিসেম্বর, ১৯০৪ কাটামুই যথেষ্ট । স্ত্রীবীজ কীটাৰু ইহার নিজ কোষের কেন্দ্র পর্য্যস্ত বৰ্দ্ধিত হইয়৷ তথা হইতে পুংবীজ কাঁটাগুকে তন্মধ্যে আকর্ষণ করে । পুংবীজ টেস্টকল বা মুস্কাগু বা অণ্ডকোষ হইতে উৎপন্ন হয় । এই পুং ও স্ত্রীবীজ রাসায়নিক উপাদানে কোন ক্রমে বিভিন্ন নছে । মনুষ্য শরীরের অন্তান্ত কোষ সকল যে উপাদানে গঠিত এই জীবাস্কুর ও প্রায় সেই উপাদানে গঠিত । হামাদের দেহের মধ্যে তালেক জীবনীশক্তি সম্পন্ন কোষ আছে । ইহার একই পদার্থে গঠিত হইলেও, ইষ্টাদের ক্রিয়ার যথেষ্ট বিভিন্নত আছে । আমাদের দেহের প্রত্যেক কোষই চৈতন্ত গুণসম্পন্ন তাহার কোন সন্দেহ নাই, কারণ ইহারা সমগ্র দেহের ও আপনাপন হিতাহিত বুঝিতে পারে । এই জীবনীশক্তিই পুরুষ ও স্ত্রী বীজ কাঁটাপুর মধ্যে প্রকাশ পায় এবং সেই শক্তির প্রভাবেই এমব্রা ও উৎপন্ন ও বদ্ধিত হয় । এই শক্তির দ্বারাই এমব্রা ও তাহার মাতার শোণিত হইতে আপন আহাৰ্য্য ও পরিপুষ্টকর পদার্থ শোষণ করিয়া লয় । অ পক্ষপাতী কোষ সমূহ যাহা উৰ্ব্বরাশীল ওভামের অসংলগ্ন কোষ হইতে জন্মে তাহা মনুষ্য শরীরের ভিন্ন ভিন্ন কোযে পরিণত হয় । - উৰ্ব্বরাশীল ও ভীমের স্বাভাবিক বৰ্দ্ধনশীল পৃথকীকরণ ও পুষ্টিকরণ শক্তিই বিশেষ আশ্চর্য্যজনক বিষয়, এই শক্তিই মানবায়ব গঠনের মূলাধার এবং ইহাকেই হিন্দু যোগীর ব্ৰহ্ম অর্থাৎ স্থজনকৰ্ত্তারূপে অৰ্চন করিতেন । ইড়ানাড়ী অর্থ রজঃগুণ অথবা বায়ু বা স্বষ্টিকৰ্ত্তার জীবনীশক্তি। এই জীবনীশক্তিই মানবদেহের রক্ষাকারক ও সংহার কারক শক্তিরূপে সৰ্ব্বব্যাপক আছে । এই ক্ষমতা দ্বারাই মানব নুতন নুতন আকৃতি বা গঠনে । গঠিত হয় ও কোষের মধ্যে তাহার আপন আহারীয় বা পুষ্টিকর দ্রব্য বহনের নিমিত্ত নুতন নুতন নালি প্রস্তুত করে যাহাদিগকে আমরা ধমনী, শিরা ও লসিকা বা লিম্ফ্যাটিক বলিয়া বর্ণনা করিয়া থাকি ] তাড়িত যন্ত্রের তারের মত সৃক্ষ স্বহ্ম স্নায়ুমণ্ডলীও শরীরের মধ্যেই নিৰ্ম্মিত হইয়! শরীরের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ব্যাপৃত হইয় তাহীদের কার্য্য কলাপের ক্ষমতাশক্তিকে শিরাময় স্থানে বহন । করিয়া লইয়া যায় ; ও তথা হইতে সেই শক্তিকে পুনরায় লইয়া আসে। ভিন্ন ভিন্ন স্নায়ুকোষ সকল ঠিক এক একটী তাড়িত যন্ত্রের ব্যাটারির মত মানবদেহের তাড়িত যন্ত্রের পোষণের প্রধান স্থান । শরীরের পুষ্টিকর দ্রব্যবহ নালির নাম ধমনী । শিরা সকল মিউনিসিপ্যালের দুষিত পদার্থ বহনের ড়ে নের স্তায় মানব দেহের । দুষিত পদার্থ বহন করে । রাসায়নিক ক্রিয়ার দ্বারা মানবাবয়বস্থিত বিধান সকল দাহন হইয়। ক্ষয় প্রাপ্ত হইলে, জীর্ণ খাদ্য, প্রাণীজ চৰ্ব্বি ও শর্কর সেচ ক্ষতি পূরণ করে । যখনই কোন ব্যক্তি কোন কাৰ্য্য করিতে নিযুক্ত হয় তখনই দেহতন্ত্রে অক্সিডেসন বা উত্তাপ উৎপন্ন হয় এবং জীর্ণ খাদ্যদ্রব্যই, অক্সিডেসনে যে সকল দেহতন্ত্র নষ্ট হয় তাহার পূরণ করে ।