পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাচ, ১৮৯২ ] ফেন্টিং এবং শক । ফেণ্টিং এবং শক । (Fainting and Shock ) লেখক-শ্ৰীযুক্ত ডাক্তার পুলীনচন্দ্র সানাল, এম, যি । ডাক্তার দেবেন্দ্রনাথ রায় মহোদয় ভিষকদর্পণে প্রকাশিত “ক্লোরফরম্ আভ্রাণ” নামক প্রবন্ধে "রক্তের চাপন” কথাটি পুনঃ পুনঃ প্রয়োগ করিয়াছেন । রক্তের চাপন ব্যাপারটা কি ? তাহ সম্যকরূপে বুঝিতে না পারিলে উক্ত প্রবন্ধের মৰ্ম্মগ্রত হয় না। যাহাঁদের -জন্য ভিষক-দৰ্পণ প্রকাশিত, তাহাদের মধ্যে অনেকেই রক্তের চাপন কথাটির মৰ্ম্ম গ্ৰহ করিতে পারেন নাই। অদ্য ফেণ্টিং নামক প্রবন্ধ উপলক্ষে রক্তের চাপন ব্যাপারটা বুঝাইবার চেষ্টা করিব । রক্তের চাপন বা রক্ত-সঞ্চাপন একটি অতি প্রধান শারীরিক ক্রিয় । এই রক্তের চাপনের হ্রাস বৃদ্ধিতে নানা প্রকার শারীরিক বিকৃতি छत्राईब्र থাকে । ফেণ্টিং এবং শককে সচরাচর মূছ। যাওয়া বলিয়া থাকে। ফেণ্টিংএর আর একটি নাম সিনকোপ (Syncope) qzs শককে কোলান্স বা পতনাবস্ত কহে । মুচ্ছ ও পতনাবস্থা উপস্থিত হইলে রোগী একবারে বলহীন হইয়া পড়ে, মুখশ্ৰী পাণ্ডু । বর্ণ, অল্প অল্প স্বেদ নিঃসরণ এবং হৃদয়ের ক্রিয়া অত্যন্ত দুৰ্ব্বল হয় । নাড়ী দ্রুত, স্বল্প এবং মৃদু হয় মোটেই পাওয়া যায় না । মুচ্ছ যাওয়া ও পতনাবস্থার বিশেষ এই যে মূছ1 হইলে রোগীর জ্ঞান থাকে নী । এবং রক্ত-সঞ্চালন যন্ত্রের ক্রিয়াবৈলক্ষণ্য হয় ধটে কিন্তু ততটা নহে । পতনাবস্থায় রোগীর জ্ঞানের বৈলক্ষণ্য হয় না কিন্তু হৃদয়-যন্ত্রের ক্রিয়ার অধিকতর বৈলক্ষণ্য ঘটে । মস্তিষ্কে রক্ত কম পড়িয়া ফেণ্টিং বা মুচ্ছ উপস্থিত হয়। মুছ। যাইবার পূৰ্ব্বে রোগীর গা ও মাথা ঘূরিয়া উঠে, কানের বfাঝ" শব্দ হয় এবং তৎপরক্ষণেই অজ্ঞান হইয়া পড়িয়া যায়। ধমনীর স্পন্দন ক্রত ও দুৰ্ব্বল হয় । কিন্তু একবারে ধাত ছাড়িয়া যায় না । মস্তিষ্কে রক্ত কম পড়াই ফেণ্টিং এর প্রধান কারণ । যে কোন কারণে হউক শরীরের রক্তের চাপন হ্রাস হইলে এই অবস্থা উপস্থিত হয় । সুতরাং মৃচ্চ যাওয়ার নিদান বুঝিতে হইলে রক্তের চাপনের বিষয় বুঝা আবশ্যক। রক্তের চাপনের ইংরেজি নাম ব্লড় C21HfH (t loodpressure) Rșt:5 আটfirst CŞagnas (Arterial tension) বলা যায়। আটরিয়াল্ টেনসেনকে বাঙ্গলা ভাষায় ধীমনিক চাপ কহ যায় । ভেইন গুলিকে শিরা এবং আর্টারি গুলিকে ধমনী কঙ্গ যায়। ধমনীর মূল হৃদয় হইতে উঠিয়াছে। এই একটা মাত্র ধমনী নানা শাখ প্রশাখা বিস্তার করিয়া সমস্ত শরীরময় ব্যাপ্ত হইয়াছে । ক্রমে ঐ সকল শাখা প্রশাখা স্বল্প হইতে স্বল্পতর হইয়াছে । এই স্বল্প স্বল্প শাখাগুলি জালের