পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষ্ট, ১৮৯১ ] রুমালে রোগীর নাখ মুখ ভাল করিয়া আচ্ছাদিত করা হয় এবং ঐ পূৰ্ব্বোল্লিখিত কারণে অতি শীঘ্র ক্লোরোফমের কার্য্য হইয়া থাকে। o ক্লোরোফম দিবার সময় কেহ কেহ অনিচ্ছা ক্রমে শ্বাস কার্য্য বন্ধ করে ও যদ্যপি ইন হেলার তাহার মুখের উপর চাপিয়া ধৰা যায় তাহা হইলে তৎক্ষণাৎ রক্ত চাপন কমিয়া যায় । আর ও শ্বাস কার্য্য বন্ধ করার পরই হাইড়ে ফোবিয়া বা জলাতঙ্ক । 8이 অতি শীঘ্র শীঘ্র শ্বাস কাৰ্য্য পুনৰ্ব্বার আরম্ভ চয়, সেই সময় রক্ত চাপন পুনৰ্ব্বার উদ্দীপিত হয় । ক্লোরোফম দেওয়া ঐ অবস্থায় বন্ধ না করিয়া ক্রমাগত দিলে রক্ত চাপন আবার কমিয়া যায়, এমন কি অতি অল্প সময় মধ্যে বোগী সংজ্ঞা শুন্য হইয়া পড়ে ও রক্ত চাপন অধিক পরিমাণে কমিয়া যায়,এমন কি বিপদ উপস্থিত হইযা থাকে । (ক্রমশঃ) হাইড্রে ফোবিয়া বা জলাতঙ্ক । একদা প্রাতঃকালে, জনৈক চিকিৎসক, কলিকাতার শিবাদহ সন্নিকটস্থ স্থানে, একটা পূর্ণ বয়স্ক ইউরেসিয়ান রমণীর চিকিৎসার্থ আহত হন । চিকিৎসককে আনুপূৰ্ব্বিক বুঝাইয়া দেওয়া ত ইয়াছিল । যে, পূৰ্ব্বদিন হইতে গৃহকত্রী হিষ্টিবিয়া | রোগাক্রা স্তু হইয়াছেন এবং তিনি প্রায় অনা হারেই আছেন । চিকিৎসক তা তার মানসিক অfতঙ্ক ও মনশ্চাঞ্চল্যের আতিশর্য্য দেখি স৷ অনেক ক্ষণ পর্য্যন্ত রোগিণীর নিকট থাকিব, তাহার ভাবভঙ্গী পর্য্যবেক্ষণ করিতে লাগি- । লেন । পরিশেষে এক পাত্র চা অনিয়া রোগিণীকে থাইতে দিতে বললেন ; যেমন চা, তাতার নিকট লইয়। যাওয়া হইল ও অসাবধানত বশতঃ কিয়ং পরিমাণ যেমন র্তাহার গাত্রে পতিত হইল, অমনি রোগিণী শয্যা হইছে লম্ফদিয়া উঠিলা বসিলেন ও সশঙ্কিত ভাবে চীৎকার করিতে লগি লেন । তৎক্ষণাৎ, চিকিৎসক অনুসন্ধান লেখক—শ্ৰীযুক্ত ডাক্তার যোগেন্দ্র নাথ ঘোষ । দ্বারা জানিতে পারিলেন যে, রুগ্ন স্ত্রী লোকটকে ঠিক তিন মাস পূৰ্ব্বে ক্ষিপ্ত কুকুরে দংশন কবিযাছিল। তিনি, অন্যান্য লোককে বুঝাইয়া দিলেন যে,বোগিণী হাইড্রোফোবিয়া ব! জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত। ইয়ছেন ; ও এই রোগ বড় সাংঘাতিক । সকলে রুগ্নপি এই অবস্ত দেখিয়া বড়ই ব্যাকুল তই মৃ উঠিযেন, এবং তাহার সিমলা পাহাড় প্রবাসী স্বামী কে তাড়ি ত-সংবাদ প্রেরণে রোগিণীর এই শোচনীয় অবস্থা জানাইলেন । তখন গৃহস্ত, একজন সুবিখ্যাত ও সুবিজ্ঞ সাহেব ডাক্তারের সহিত পরামর্শ করিতে, চিকিৎসককে অনুরোধ করিলেন ; সেই দিবস মপ্যাহে ই তাহা কার্য্যে পরিণত করা হইল। তখন, উভয় চিকিৎসক যুক্তি করিয়া, মর্ফিয়া ও এটোপিয়া মিশ্রিত করিয়া হাইপোড়ামি কি বা ত্বকের নিম্নে পিচকারী দিলেন । ডাক্তণর সাহেব আর একবার একাকী দুই ঘণ্টা পরে আসিয়া রোগিণীকে