পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હ ভিষক দর্পণ । [আগষ্ট, ১৮৯১ ম্যাসাজ । ● বা سك অঙ্গ-মৰ্দ্দন ও অঙ্গ-চালন । লেখক-স্ত্রীযুক্ত ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর, এল, অর, সি, পি, ( এডিনবরা ) (পূৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর । ) ইংরাজীতে অঙ্গ-মৰ্দ্দনকে ম্যাসেজ | ব। শ্যাম্পূইঙ্গ বলে । অঙ্গ চালনাও ম্যাসেজের অন্তর্গত। আয়ুৰ্ব্বেদে বিবিধ রোগে বিবিধ তৈল মদিনের ব্যবস্থা আছে । অঙ্গে এই সকল তৈল মর্দনে দুই প্রকারে ক্রিয়া দশায় :- ১, তৈলে যে সকল ঔষধ দ্রব্য আছে, তাহাবা চৰ্ম্ম দ্বারা শোষিত ষ্ট'টয় শরীরের কার্য্য কবে ; এবং ২, শুদ্ধ মদিন বশতঃ শরীরের ক্রিয় প্রকাশ পায । আয়ুৰ্ব্বেদে রোগের চিকিৎসার্থ শুদ্ধ অঙ্গ মদনের ও ব্যবস্ত দেখা যায়। শরীর-রক্ষার্থ ও রোগের প্রতিকারার্থ হিন্দু শাস্ত্রে বিবিধ প্রকার হঠ যোগের উল্লেখ আছে । পাশ্চাত্য চিকিৎসা প্রণালী মতে বিবিধ রোগে ধ প্রতিকারার্থ নানা প্রকারে নিয়ম মত অঙ্গ মৰ্দ্দন একটি প্রধান উপায় । এক্ষণে দেথা যাউক, অঙ্গ মদন বা ম্যাসেজের অর্থ কি । দেহের পেশী সকলের শিরা, ধমনী ও রস নলী সকলের ব্যবচ্ছেদ কৰ্ণ অবস্থা, জীবিতাবস্থায় উহাদের ক্রিয়াদি ও পরম্পরের সম্বন্ধ সম্যক জ্ঞাত হইয় রোগীর শরীরের উপর যথাবিধি হস্ত প্রক্রিয়াকে অঙ্গ মৰ্দ্দন বলে । রীতিমত অঙ্গ মৰ্দ্দন হইলে নিম্ন লিখিত ফল উৎপন্ন হয় ;—১, লিম্ফটিক বা রসনলী মধ্যে রস সঞ্চালন ও শিরা মধ্যে রক্ত সঞ্চালন পায় ; ২, যে শরীর বিধানে মৰ্দ্দন প্রয়োগ করা যায়, তাহার ধমনী মধ্যে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় ; ৩, স্থানিক ও সাৰ্ব্বাঙ্গিক টিশু পরিবর্তন বৃদ্ধি পায় ; ৪, বিবিধ অাময়িক অপ্রকৃত পদার্থ শোষিত হয় ; ৫, সৰ্ব্বাঙ্গের পরিপোষণ এবং সমুদায় যন্ত্রের ক্রিয়া বৃদ্ধি হয় ; যদি অগ্র ভুজের পশ্চাদেশের কোন স্ফীত শিরার উপর (যে পৰ্য্যন্ত উহা অপর শিরার সহিত মিলিত না হয়) বৃদ্ধাঙ্গুলি চাপিয়া উদ্ধাভিমুখে সত্বর টানিয়া লওয়া যায়, তাক হইলে দেখা যাইবে যে, সেই নিপীড়িত শিব। শূন্যগর্ভ হইয়াছে, এবং সেই স্থানে চষ্মেণ নিম্নে একটি খাত দৃষ্ট হইবে । কিন্তু এই শিরার সহিত অপর সে শিরার সংনিপাত হইয়াছে, তাহার কোন রূপ বৈলক্ষণ্য দেখা যায় না। আপার, দুইটা শিরা মিলিত হইয়া যে অপেক্ষাকৃত বৃহৎ শির নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, যদি তাহার উপর পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে অক্ষুলি চাপিয়া উদ্ধাভিমুখে সত্বর লইয়া যাওয়া যায়, তাহা হইলে শিরা মধ্যে রক্তস্রোত বৰ্দ্ধিত্ত হওয়ায় সকল উপশিরায় ( অর্থাৎ যে সকল ক্ষুদ্রশির সন্মিলনে বৃহৎ শিরা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে )