পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ly a ভিষকৃ-দৰ্পণ । [আগষ্ট, ১৮৯১ বর্ণের লোহিত্য, ফুলা, যন্ত্রণ, এবং অতিরিক্ত উত্তাপ এই চারিটী একত্র হইলেই প্রদাহ হইয়াছে বলা হইতেছে । কিন্তু এই অবস্থায় নিদানতত্ত্ব অতি অল্পদিনমাত্র হইল,পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে নির্ণীত হইয়াছে । যখন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছিল না, তখন এ সকল বিশেষ কিছুই জানা যাইত না । কিন্তু অণুবীক্ষণ যন্ত্রের স্বষ্টির পর, উনবিংশ শতাব্দীর মধ্য ভাগেই এই সকল বিষয় বিশেষরূপে আলোচিত হইয়াছে ও আজিও হইতেছে । সুতরাং গত পঞ্চাশ বৎসরের মধ্যেই প্রদাহের প্রকৃত ইতিহাস পাওয়া যায় । ১৮৩৯ খৃঃ অব্দে মহাত্মা মোয়ান অনেক গবেষণার পর আবিষ্কার করেন যে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষাণুপুর্ণ কোষ জীবশরীরের নানা প্রকার গঠনের একটি প্রধান উপাদান । এই ঘট. নার কিছু দিন পরেই অনেকে প্রদাহিত স্থানে এই রূপে কোষ সমুহের অবস্থিতি আবিষ্কার করেন । কিন্তু তখন সকলেই মনে করিয়াছিলেন যে, ভিন্ন ভিন্ন বিধানের মধ্যস্থিত স্থানে অনেক গুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু একত্র জমিয়া এক একটি ক্ষুদ্র কোষ উৎপন্ন হয় । যাহা হউক, কোষের উৎপত্তি সম্বন্ধে এই ভ্রমপুর্ণ মত অধিক দিন বিজ্ঞান জগতে তিষ্ঠিতে পারে নাই । অদে মহামতি ভিরকে। এই মর্ত প্রচার করেন যে, এক কোষ হইতেই সকল কোষের উৎপত্তি হয়। পরমাণু সমষ্টির সংযোগ দ্বারা কোষ উৎপন্ন হয় না। প্রদাহ স্থানে যে সকল ক্ষুদ্র কোষ দেখা যায়, তাহার মতে তাহার জীবশরীর মধ্যস্থ সংযোজক বিধানের পুনঃ পুনঃ বিভাগ দ্বারা উৎপন্ন হয় । >b”(?b- કૃ: | কোষের উৎপত্তি সম্বন্ধে ভিরকোর মত । যাহাই হউক, প্রদাহ স্থানে যে সকল কোষ দেখা যায়,তাহারা যে সবই কেবল সংযোজক বিধান হইতে উৎপন্ন হয়, একথা সত্য নহে। ১৮৬৭ খৃঃ অব্দে ভিরকোর অন্যতম ছাত্র কন হিম, ভেকের প্রদাহগ্ৰস্ত অস্ত্রাবরক ঝিল্লি অহরিবর্ণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করিয়া দেখান যে,ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তবহ নাড়ীর প্রাচীর ভেদ করিয়| শ্বেত রক্তকণিকা সকল নির্গত হইয়া নাড়ীগুলির বাহিরে গমন করে । এই সকল কোষই অবশেষে পুরকোষে পরিণত হয়। কিন্তু কন হিমের পূৰ্ব্বে ডাঃ ওয়ালর, ডাঃ উইলিয়ম এডিসন এই ব্যাপার পরীক্ষা করিয়া বর্ণনা করেন । কিন্তু তখন র্তাহীদের মত সকলে গ্রহণ করে নাই । রক্তবহ নাড়ী বিশিষ্ট স্থানে প্রদাহ কালীন পরিবর্তন, কনহিমের পরীক্ষা —নিম্নলিখিত রূপে কনহিমের পরীক্ষা সম্পন্ন করা যাইতে পারে এবং প্রদাহের সকল ঘটনা বিশেষ করিয়া দেখা যাইতে পারে । কোন একটি ভেকের জিহবা অথবা অন্ত্রাবরক ঝিল্লি অণুবীক্ষণু যন্ত্রের নিম্নে রাখিলে উহাতে বাতাস লাগিয়া । প্রদাহের উৎপত্তি হয়, এই অবস্থায় সৰ্ব্ব প্রথমে অণুবীক্ষণ দ্বারা উক্ত স্থানের রক্তবহ নাড়ীগুলিকে প্রসারিত হইতে দেখা যায় । অগ্ৰে ধমনীগুলি তৎপরে শির। গুলি এবং সৰ্ব্বশেষে কৈশিক নাড়ীগুলি প্রসারিত হয় । নাড়ীগুলির আয়তন বৃদ্ধির श्लरश्नं नरकं ङिद्मक्षाश् রক্তস্রোতের বেগের বৃদ্ধি, হয় । এইরূপ স্রোতবেগ ধমনী মধ্যেই প্রধানতঃ দৃষ্ট হয়। কিন্তু এই