পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষ্ট, ১৮৯১] ইংরাজী সাময়িক পত্র হইতে উদ্ধৃত। পাওয়া গিছিল। পেন্ধিকাজিমাৰম্বা। প্লার মধ্যে কোন প্রকার তরল পদার্থ ছিল না, ফুসফুসদ্বয়ে রক্তাল্পতার লক্ষণ এবং যকৃৎ ও হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থা দৃষ্ট হইল । শব পরীক্ষার পর নির্দ্ধারিত হইল যে, রোগীর দুর্বলতা বশতঃই মৃত্যু হইয়াছে । যদি ঐ ব্যক্তি সবল থাকিত, তাহ হইলে তাহার অারোগ্য হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা ছিল, কারণ অপারেশনের পর পেরিটোনাইটিসের কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় নাই, কত্তি ত রক্তবাহ নাড়ীসমুহ রুদ্ধ হইয়া গিয়াছিল প্ল বা বা পেরিকাডি়েয়মের মধ্যে এফিউশন (Effusion) অর্থাৎ রক্ত-রস নিঃস্বত হয় নাই । পাকস্থলী মধ্যে যে তরল পদার্থ বৰ্ত্তমান ছিল, তদ্বারা পাকস্থলী প্রসারিত হইয়। ডায়াফ কে উপরের দিকে সরাইয়৷ দেয়, তাহাতে ফুসফুসদ্বয় সঞ্চাপিত হইয়। শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট জন্মায়, এবং হৃৎপিণ্ডের কার্য্যেরও বিস্নজনক হয়। মৃত্যুর পূর্বে রোগীকে অধিক পরিমাণে পানীয় দ্রব্য । প্রদান করা হইয়াছিল । পাকস্থলির এরূপ প্রসারিত অবস্থা রোগীর জীবিত বস্থায় জানিতে পারিলে ষ্টমাক-পম্প দ্বারা ঐ পাকস্থলির অন্তর্গত তরল পদার্থ বাহির করিয়া দিয়া উহাকে উত্তম রূপ ধৌত করিলে হয়ত রোগীর মৃত্যু ঘটিত না ; এজন্য ডাক্তার ব্রাউন সাহেৰ বলেন যে, প্লীহা বহির্গত করিবার পর দুই তিন দিবয় পৰ্য্যন্ত রোগীকে কোন প্রকার তরল বস্তু পান করিতে দেওয়া । खेङि नप्रु। बक्ष बक्ष ब्रिा उक জলের পিছকারী দিলে অস্ত্র পরিষ্কার ও त्रिश्रtनां नितांद्र१ इअ । w | | QS ব্রাউন সাহেৰ ইতিপূৰ্ব্বে অপর এক ব্যক্তির প্লীহা কৰ্ত্তন করিয়া দূরীভূত করেন। কিন্তু অপারেশনের সময় ভ্রমবশতঃ স্পেনিক আর্টারীর একটা শাখা লিগেচীর দ্বারা বন্ধন না করিয়া কাটা হয়, তাহ হইতে এরূপ ভয়ানক রক্তস্ৰাৰ হয় যে, অস্ত্রোপচার শেষ না হইতেই রোগীর মৃত্যু হয়। এজন্য এবারে অস্ত্রোপচার কালে তিনি রক্তবাহ নাড়াগুলিকে প্রথমে লিগেচার দ্বারা বন্ধন করিয়া তাহার পর বিভক্ত করেন, সেই কারণে কিছু মাত্র রক্তস্রাব হয় নাই। এতদ্ব্যতীত পচন নিবারণার্থে তিনি পুৰ্ব্ব হইতে পদে পদে সাবধান হওয়ায় পেরিটোনাইটিসও হয় নাই । এসিসট্যাণ্ট সার্জন আনন্দ লাল বসু ও পূী হাসপাতালের অন্যান্য কৰ্ম্মচারীদিগের দ্বারা এই ভয়ানক অস্ত্রোপচার কালে ও তাহার পর তিনি যে যথোচিত সাহায্য প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তাহা তিনি মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন । বসন্ত রোগের দাগ নিবারণ |

  • *

সকলেই জানেন যে, অনেক সময় বসন্ত রোগ আরোগ্য হইবার পর মুখ মওলৈ ও শরীরের অন্যান্য স্থানে-বসন্ত গুটীর বিস্ত্রী চিত্ন সমূহ রছিয়া যায়। কিন্তু নিম্ন লিখিত প্রকারে উক্ত রোগের চিকিৎসা করিলে ঐ রূপ দাগ থাকিবীর সম্ভাবন অতি অল্প । তিন ভাগ কাবলিক এসিড, ৫০ ভাগ অলিভ অইল ও ৫০ ভাগ ষ্টার্চ মিশ্রিত ' করিয়া প্ল্যাক্টার প্রস্তুত করিবেন, পরে উই৷