পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏՆժ ভিষক-দৰ্পণ । সেপ্টেম্বর, ১৮৯১ পথ্য-বিধান । భ్సీ লেখক-খ্ৰীযুক্ত ডাক্তার কুঞ্জবিহারী দাস । , সূচনা – প্রথম পরিচ্ছেদ । সৰ্ব্বশক্তিমান জগন্নিয়ন্ত পরমেশ্বর প্রাণী মাত্রকেই পীড়ার অধীন করিয়াছেন । জগতে এরূপ প্রাণী অতি বিরল, যাহাদিগকে এক দিন না এক দিন ব্যাধি-যন্ত্রণা ভোগ ন৷ করিয়াই ইহলীলা শেষ করিতে হইবে । পৃথিবীস্থ জীবমাত্রেই পীড়ার অধীন হইলেও মনুষ্যই অধিকতররূপে ব্যাধির করতলস্থ হইয়াছে। ইহার প্রকৃত তথ্য নিরূপণ করা যদিও আমাদিগের অভিপ্রায় নহে, তথাপি সাধারণতঃ আহার বিহারাদির অনিয়ম বশতঃ এবং পীড়িতাবস্থায় উহা | দিগের অযথোচিত ব্যবহার প্রযুক্ত, সৰ্ব্বদাই যে সমুদায় অহিত ফল সংঘটিত হইতেছে, উহাদিগের প্রকৃত ব্যবহার বিষয়ে তৎপক্ষে সবিশেষ রূপ সতর্কত প্রদর্শনই আমাদিগের সমধিক লক্ষ্য স্থল । পশু পক্ষ্যাদি ইতর প্রোণিদিগের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে দেখা যায়, তাহার স্বচ্ছন্দ শরীরে মনের আনন্দে, তাহাদিগের অাৰাসস্থল বিপিন-প্রদেশে সুখে বিচরণ করিয়া বেড়াইতেছে, ব্যাধি কাহাকে বলে, তাহ। হয়ত কেহ কেহ জীবনের তিন-চতুর্থাংশেরও অধিক কালক্ষেপণ করিয়াছে তথাপি বিদিত হইতে পারে নাই ; কেহ কেহ বা মৃত্যুর অব্যবহিত পূৰ্ব্বকাল পর্য্যন্ত নিরাময় হইয়। রহিয়াছে ; আমাদের প্রতি দৃষ্টি করিলে অথবা অনুসন্ধান লইলে ইহা অবগত হওয়া যায় যে, এবং জগতের শ্রেষ্ঠতম জীব | প্রায় প্রত্যেকেই কোন না কোন बैंोमि কর্তৃক অবশুই পীড়িত আছে, কেহ বা পাক যন্ত্রের, কেহবা যকুতের, কেহবা মুত্র যন্ত্রের, কেহব। অপরবিধ কোন যন্ত্রের পীড়ায় অথবা শারীরিক কোন প্রকার পীড়ায় দিব। রজনী যন্ত্রণ ভোগ করিয়া, হয় আরোগ্য লাভ করিয়া পুনরায় ঐরুপ ব৷ অপরবিধ কোন পীড়ার নিদারুণ হস্তে পতিত হইয়। ব্যাধির ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা হইতে মুক্তিলাভ করি তেছে । সুস্থ কায় প্রফুল্লান্তঃকরণ, বলিষ্ঠ পশ্বাদির সহিত, রোগ-পীড়িত বিমর্ষ দুৰ্ব্বল মানবের তুলনা করিলে আমাদিগেরই শরীর ব্যাধিমন্দির বলিয়া বোধ হয়। গৃহপালিত পশ্বাদিকে অনেক সময় পীড়িত দেখা যায় ইহা সত্য বটে, কিন্তু বিশেষরূপ বিচার করিয়া দেখিলে ইহা বিলক্ষণ বুঝা যায় যে, আমাদিগের সংস্রব বশতঃই উহার ঐ প্রকার পুনঃ পুনঃ বা দীর্ক কাল স্থায়ী ব্যাধি যন্ত্রণ ভোগ করিয়া থাকে। আমরা উহাদিগকে তাহাদিগের উপযোগী অtহার প্রদান করিতে অসমর্থ বশতঃই এবশ্বকার কুফল সংঘটিত হয়। স্বাধীন ভাবে বিচরণকারী ষণ্ড এবং অন্তান্ত পশ্বাদির প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেই ইহার সুস্পষ্ট প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়, এবং বোধ হয়, উপযুক্তরূপ তাহার বিহারাদির অভাব বা অনিয়মই স্বাস্থ্যভঙ্গ ও পীড়িত হওনের প্রধান কারণ ।