পাতা:ভীষ্ম - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y ay ভীষ্ম 最 মাত্র বিক্ষুব্ধ হন। দুৰ্য্যোধন। তার কাছে কর্ণের নাম কয়িলেই তিনি ক্ৰোধে আত্মহারা হয়ে যাবেন । হয় তা তোমাদের পঞ্চভ্রাতার সংহারে প্রতিভা করবেন। তার সেই প্ৰতিজ্ঞা ভঙ্গ করতে হবে । তোমাদের মৃত্যুর জন্য পঞ্চবাণ কৌশলে হস্তগত করতে হবে। নাও এস। কি কৌশলে হস্তগত কয়া সম্ভব, তোমাকে বলতে বলতে পিতামহের শিবিরে গমন । করি । 1. , আ। তুমি যত্নী আমি যন্ত্র,-চল বাসুদেব, চল । ਲ শিবির-সন্ধ্যা ভীষ্ম । ক্ষাত্ৰ ধৰ্ম্মকে ধিক ৷ প্ৰভাতের সঙ্গে সঙ্গে যে গুরুর জন্ম উচ্চারণ করে শয্যাত্যাগ করতে হয়, ক্ষত্ৰিয় ধৰ্ম্মোর-অনুরোধে আমি সেই গুরুকে পরাজয় স্বীকার করিয়েছি। দেবর্ষি নারদের আদেশে সমরে চির অজেয় ভার্গব সহান্ত মুখে অন্ত্রত্যাগ করলেন, কিন্তু আমি সে দেবর্ষির আদেশ রক্ষা করতে পারলাম না। তার ফলে আজ আমার এই দুরবস্থা। সেই রামজয়ী-ক্ষত্ৰিয় আমি, এই বৃদ্ধ বয়সে এক দুৰ্ম্মতি যুবকের অল্পভোক্তা। পরান্নভোজীর হীনতায় আজ আমি কতকগুলি জেহভাজন বালকের সঙ্গে যুদ্ধ করছি। আমার পঞ্চ প্ৰাণ, আজ আমার যুদ্ধ ব্যাকুল হ’য়েছে। হে ভাৰ্গব। এখন বুঝতে পারছি, তুমি আমাকে জয় দাওনি। জয়ের নামে চিয় মৰ্ম্মভেদী পরাজয় অষাকে প্ৰদান করেছি ।