[ 3 ] প্রাহুরাচার্য্যাঃ ॥ মেষে বৃশ্চিকভে গজঃ প্রচলতি ব্যাসাদিভিঃ কথ্যতে চাপে মীনকুলীরভে চ বৃষভে সত্যং চলেং কচ্ছপঃ । ব্লকে কুম্ভধরে মৃগেন্দ্রমিথুনে কন্যামৃগে পন্নগঃ তেষামেকতমো যদি প্রচলতি ক্ষেীণী তদা কম্পতে ॥ বৃহৎ সংহিতাদিতে লেখা আছে। কেহ কেহ বলেন, সমুদ্রমধ্যস্থিত অতি বৃহং প্রাণী ভূকম্পের কারণ। অন্য কাহার মতে ভূমিধারক দিগ্গজগণের মধ্যে মধ্যে বিশ্রাম জন্য ভূমিকম্প হয়। অপরের মতে বায়ুদ্বারা বায়ু আহত হইয়া ভূমির উপরে সশব্দে পড়িলে ভূকম্প হয়। কোন আচাৰ্য্য বলেন, ভূকম্পের স্বব্যক্ত কারণ নাই, অদৃষ্টবশতই ইহা ঘটে। জীবের যেরূপ জন্মমৃত্যু হয়, তাহার কারণ অজ্ঞাত ও অদৃষ্টকৃত ; সেরূপ ভূকম্পের কারণও অব্যক্ত অদৃষ্টকৃত। অর্থাৎ ইহার কারণ কেহই জানে না ; অনুমান দ্বারা এষ্টবিষয়ে অনেকেই অনেক কথা বলিয়া থাকেন। গজ, কচ্ছপ ও সর্প পুথিবীর নিম্নে আছে। নক্ষত্র ও রাশি বিশেষে গজাদির মধ্যে একটিও সঞ্চলিত হইলে ভূকম্প হয়, ইহা ব্যাসাদি মুনির মত। কেহ কেহ বলেন, অনন্তের হাজার ফণার উপরে পুথিবী আছে ; মধ্যে মধ্যে ফণাপরিবর্তনের সময়ে ভূমিকম্প হয়। ভূকম্প বিষয়ে প্রাচ্য পণ্ডিতদিগের ইহাই সংক্ষিপ্ত মত। আজকাল এই বিজ্ঞানযুগে শিক্ষিত যুবকগণ কি ইহা পাঠ করিয়া সন্তুষ্ট হইতে পারিবেন ? আধুনিক কোন কোন ভূতত্ত্ববিদের বিশ্বাস যে, এই সচল পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত আণবিক শক্তির স্রোত বহিতেছে, সেজন্য অল্প কম্পন সৰ্ব্বদাই হয়। সে স্পন্দন ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভূত হয়
পাতা:ভূকম্প.djvu/১৬
অবয়ব