বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভূকম্প.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 21 J দিন পূর্বে অনেক বেলুনবাজ সাহেব বেলুনে চড়িয়া বেড়াইতে আসিতেছিলেন পথের মধ্যে বেলুন নষ্ট হইয়া পড়িয়া যাওয়ায় আরোহী সকল লোকই প্রায় মারা যায়, তার মধ্যেও তিন চারি জন লোক জীবিত ছিলেন। কখন যে কাহার মৃত্যু হইবে একথা কেহই জানেন না ও বলিতেও পারেন না। কারণ জন্মমৃত্যুর চাবি ৬মার হাতে। তাহার ইচ্ছায় স্ব স্ব কৰ্ম্মানুসারে জীবের জন্ম ও মৃত্যু হয়। উত্তর বিহারে ভূকম্পে ঘর চাপ৷ পড়িয়া অনেকেই মারা গিয়াছে সত্য। মাটী চাপা পড়িয়াও কয়েকজন লোক জীবিত ছিল। মজঃফরপুর জেলায় একটি অশীতিবর্ষ বয়স্ক বৃদ্ধ নাতিকে কোলে করিয়া ঘর-চাপা পড়িয়া মারা যান। তার কোলের ছেলেটর কিছু হয় নাই ; সেট এখনও জীবিত আছে। মুঙ্গেরেও একটা স্ত্রীলোক (মাত ) ছেলেকে কোলে করিয়া ঘর-চাপা পড়ে। পরে মাট সরাইয়। দেখা গিয়াছে যে, মা মৃত্যুমুখে পতিত, ছেলেট জীবিত। এই ভীষণ মাটী-চাপার মধ্যে ছেলে দুটকে কে রক্ষা করিয়াছিল ? ইহার উত্তর কি আমার দয়াময়ী মা নহেন ? ইহাদ্বারা প্রমাণ হইতেছে যে আয়ু থাকিলে ঘোর বিপদগ্রস্ত হইয়াও মরে না। জন্মমৃত্যুর চাবি যখন প্রকৃতিদেবী yজগদম্বার হাতে, তিনি যাহাকে রক্ষা করিবেন, কেহই তাহাকে মারিতে পারিবেন এবং তিনি মারিলে কেহই রাখিতে পারিবেন। কেহ কেহ বলেন যে পৃথিবীর তলে অনবরত ভাঙ্গা চোরার কাৰ্য্য হইতেছে তাই পুথিবীর অভ্যস্তরে স্থানে স্থানে গৰ্ত্ত ও গহবরাদি হয়। উপরের মাট পড়িয়া সেই গৰ্ত্তাদি পূর্ণ করে