হইত, তবে এতাদৃশ দেখা যাইত না; কেননা গোলাকার বস্তু ব্যতিরেকে অন্য বস্তুর ছায়া সর্ব্বতোভাবে গোল হইতে পারে না।
সূর্য্য ও চন্দ্রের মধ্যে পৃথিবীর প্রবেশ হেতুক চন্দ্রগ্রহণ হয়; অতএব যাদৃশ পৃথিবীর আকার তাদৃশ ছায়া চন্দ্রের উপরে লাগে।
নানা দেশীয় নানা প্রকার লোকেরা অনেক ২ বার চন্দ্রগ্রহণ দেখিয়াছে, তাহাতে গোল বিনা কখনও অন্য রূপ কেহ দেখেন নাই; অতএব এই ২ প্রত্যক্ষ ফলদ্বারা সকল দেশীয় লোকেরা পৃথিবীর গোলতা নিশ্চয় করিযাছেন।
আর পর্ব্বতাদির উচ্চতা ও হ্রদাদির নীচতা প্রযুক্ত যদি কেহ পৃথিবীর গোলতার অন্যথা কহেন, তবে তাহার উত্তর এই; যাদৃশ বাতাবী লেবুর গাত্রে কিঞ্চিৎ উচ্চনীচতা থাকিলেও তাহাকে গোল বলে, তাদৃশ দেখা যায়। ইহার প্রমাণ এই, হিমালয়হইতে উচ্চ পর্ব্বত পৃথিবীতে আর নাই; তাহার উচ্চতার সীমা পাঁচ ক্রোশ মাত্র, কিন্তু পৃথিবীর ব্যাস ৭০০০ ক্রোশ, তদপেক্ষা সে পর্ব্বত ১৪০০ গুণ ক্ষুদ্র।
বালক শিক্ষার্থে প্রশ্নোত্তর।
প্র। পৃথিবীর গোলতার আর প্রমাণ কি?
উ। তাহার অন্য প্রমাণ এই, চন্দ্রগ্রহণে যখন পৃথিবীর ছায়া চন্দ্রের উপরে লাগে, তখন সে ভুচ্ছায়াকে