পাতা:ভূগোল বৃত্তান্ত - উইলিয়াম হপকিন্স পিয়ার্স.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৬২

৯ পাঠ।

আশিয়ার দ্বীপের বিষয়।

 এই সকল দ্বীপ ব্যতিরিক্ত পাসিফিক্ ওস্যনের মধ্যে দুই স্থানে অনেক দ্বীপ পরস্পর নিকট আছে; তাহার এক দ্বীপসমূহের নাম অস্ত্রালাশিয়া অর্থাৎ দক্ষিণ আশিয়া; অন্য দ্বীপসমূহের নাম পলিনীসিয়া অর্থাৎ বহুদ্বীপ। এই দুই সমূহদ্বীপ আশিয়ার মধ্যে গণা যায়। অস্ত্রালাশিয়ার মধ্যে প্রধান দ্বীপ ন্যূহলাণ্ড, অর্থাৎ নব হলাণ্ড। এই দ্বীপ স্থানেতে ইউরপের সহিত প্রায় সমান।

 ন্যূহলাণ্ড এমত বৃহৎ তথাচ ইংরাজী ১৬১৬ সন পর্য্যন্ত অন্য দেশীয় লোককর্তৃক জানা গিয়াছিল না। পূর্ব্বে পোর্ত্তুগীশ লোক ইউরপীয়দের মধ্যে প্রধান নাবিক ছিল; এবং তাহাদের দ্বারা সে দেশ প্রথম জানা গেল। কিন্তু। ১৭৭০ সন পর্য্যন্ত কাপ্তেন কুক্ সাহেব ইংরাজের রাজাকর্তৃক পাসিফিক্‌ ওস্যনের মধ্যে অদৃশ্য দেশ জানিবার নিমিত্তে যাবৎ প্রেরিত না হইয়াছিলেন, তাবৎ তাহার নিশ্চয় কিছুই জানা গিয়াছিল না। পরে কাপ্তেন কুক্ সাহেব ন্যূহলাণ্ডকে বেষ্টন করিয়া প্রায় তাহার চতুর্দিগের নক্সা করিলেন, এবং তিনি অনেক ২ উপদ্বীপও জানাইয়াছিলেন। তাহার মধ্যে এক উপদ্বীপের নাম। হাওয়াইহী; সেই হাওয়াইহী দ্বীপস্থ লোকেরা ঐ কাপ্তেন সাহেবকে অকারণে বধ করিয়াছিল।