পাতা:ভূগোল বৃত্তান্ত - উইলিয়াম হপকিন্স পিয়ার্স.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৬৬

তাহার মিলনের পূর্ব্ব ঐ ব্রহ্মপুত্র মিলিয়া ত্রিপুরার নিকট বাঙ্গালার মহাখালে প্রবেশ করিয়াছে।

 বহ্মপুত্ত্রের উৎপত্তিস্থান গঙ্গার উৎপত্তিস্থানের এতাদৃশ নিকট, এবং দীর্ঘতাও সমান, তথাপি কোন স্থানে ঐ দুই নদীর মধ্যে এক সহস্র পঞ্চাশ ক্রোশ অন্তর আছে। তাহার কারণ এই, যে গঙ্গা দক্ষিণ দিকে চলে, কিন্তু বহ্মপুত্র পূর্ব্ব দিকে অনেক দূরে গমন করিয়া সমুদ্রের দিকে ফিরে।

 ব্রহ্মপুত্ত্র তিব্বৎ দেশ দিয়া পূর্ব্ব দিকে গমন করিয়া চীন দেশের সীমাহইতে দুই শত ক্রোশ অন্তর চলে; সেই স্থানহইতে অকস্মাৎ পশ্চিমে ফিরিয়া, আসাম দেশ দিয়া বঙ্গ দেশের রাঙ্গামাটীর নিকট প্রবেশ করিয়াছে।

বালক শিক্ষার্থে প্রশ্নোত্তর।

 প্র। হিন্দুস্থানের মধ্যে কোন নদ বড়?

 উ। তাহার মধ্যে ব্রহ্মপুত্ত্র নদ প্রধান।

 প্র। বহ্মপুত্ত্রের উৎপত্তিস্থান কোথায়?

 উ। তাহার উৎপত্তিস্থান গঙ্গার উৎপত্তিস্থানের নিকট।

 প্র। তাহার দৈর্ঘ্য কত বড়?

 উ। তাহার দৈর্ঘ্য গঙ্গার দীর্ঘতার সমান, অর্থাৎ ১৩০০ ক্রোশ।

 প্র। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে কত দূর অন্তর?

 উ। তাহার মধ্যে কোন স্থানে এক হাজার পঞ্চাশ ক্রোশও অন্তর আছে।

 পর। এত অন্তরের কারণ কি?

 উ। তাহার কারণ এই, যে গঙ্গা দক্ষিণে চলে, কিন্তু