পাতা:ভূতত্ত্ব (প্রথম ভাগ) - গিরিশচন্দ্র বসু.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ । 여 শিখরের স্থানে স্থানে ঝিনুক-( Shells ) ফসিলধারা স্তর সকল দেখা যায়; আসামের খাসি পাহড়ে ও (Khasi Hills) এই প্রকার ফসিলের অভাব নাই। শিমলার দক্ষিণে “শিবালিক” পাহাড় নামক উপ-হিমালয় পৰ্ব্বত স্তরে লুপ্ত (Extinct) হস্তী ও তদপেক্ষা বৃহৎ বৃহৎ জীবের ফসিল পাওয়া গিয়াছে । অতএব ইহারা সকলেই আজ। আমরা ঘে লুপ্ত পদ ব্যবহার করিলাম, তাহার অর্থ,—সে সকল জীব ( উদ্ভিদ ও প্রাণী ) পূর্বে ছিল, এখন জীবিত অবস্থায় দেখিতে পাওয়া যায় না, কিন্তু তাহদের ফসিল দেখিতে পাওয়া যায় । শিবালিক পাহাড়ে যে হস্তার ফসিল পাওয়া গিয়াছে, তাহ আধুনিক হস্তীর ফসিল নহে ; সে প্রকার হস্তা এখন আর ভারতবর্ষে দেখা যায় না । কোন পুস্করিণী কাটাইবার সময়, অথবা পুরাতন পুষ্করিণীর পুনঃ সংস্করণ অর্থাৎ বালানর সময় স্তরিত প্রস্তরের উদাহরণ পাওয়া যায় ; হয়ত প্রথম এক স্তর বালুকা, দ্বিতীয় স্তর কৃষ্ণবর্ণ পঙ্কিল মুক্তিকা, তৃতীয় স্তর লালবর্ণ এটেল, চতুর্থ স্তর পুনর্বার বালুক ইত্যাদি ইত্যাদি ।