পাতা:ভূতত্ত্ব (প্রথম ভাগ) - গিরিশচন্দ্র বসু.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R. ভূতত্ত্ব । ভূতত্ত্ববেত্তারা প্রমাণ করিয়াছেন যে, পৃথিবীর বাহ্যাকার পরিবর্তনশীল । আমরা এক্ষণে যাহা দেখিতেছি পূর্বে তাহ ছিল না এবং পরেও থাকিবে না ; অদ্য যেখানে হিমালয় দেখিতেছি, পৃথিবীর আদি হইতে ইহার উৎপত্তি হয় নাই এবং চিরকালও ইহ থাকিবে না ; ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ও ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় পৃথিবী ক্রমশ আধুনিক বেশ ধারণ করিয়াছে। পৃথিবীর ব্যাসাৰ্দ্ধ প্রায় ৪০০০ মাইল ; মৃত্তিক খনন করিয়া মনুষ্য আজি পৰ্য্যন্ত ২৫০০ ফিটের অধিক যাইতে ও পর্য্যবেক্ষণ করিতে সমর্থ হয় নাই ; অতএব যদি কেবল খননের উপর নির্ভর করিতে হইত, তাহ হইলে আমাদের ভূগর্ভ পৰ্য্যবেক্ষণ নিতান্ত সামান্য অথবা অসম্ভব হইত বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। কিন্তু খনন ব্যতীত ভূগর্ভ পৰ্য্যবেক্ষণের অপর সহজ ও স্থলভ উপায় আছে ; সেই উপায়ে ভূগর্ভস্থ প্রস্তরাদি ভূ-পৃষ্ঠেআনীত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠে থাকিয়া আমরা ভূগর্ভের ৬। ৭ মাইলের নিম্নের বিবরণ সংগ্ৰহ করিতে পারি। ৬ । ৭ কি ৮ মাইল, পৃথিবীর ব্যাসাৰ্দ্ধ ৪০০০ মাইলের