পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DEBD LBBD BBD DD BD L DBD DDD BBSS রাত্রে হয়তো দাওয়ায় উঠে শোয়, কেউ টের পায় না । লেজ নাড়তে নাড়তে কখনো কাছে এলে গোবর্ধন তাকে দূর দূর করে ভাগিয়েই দিয়েছে চিরদিন। তবু আজ কালোর পরাজয়ে কেমন একটা অপমান বোধ ভেতরে কামড়াতে থাকে। গজেনের লোম ওঠা বুড়ো কুকুরের কাছে তার চিকন কালো কুকুর হেরে গেল ! তারপর আর তো ঘুম আসে না গোবধানের ! জীবনের সমস্ত সঞ্চিত ক্ষোভ আর নালিশ যেন একসঙ্গে পাক দিয়ে উঠে তার কণ্ঠ রোধ করে দিতে চায়। সেও প্ৰায় জগতের ছোট-বড় আপন-পর সকলের জিদের BDBDLDuBD TBuDD DB DBDS BB DD DBBBD BDBBD DDD সবাই মিলে। অপরাজেয় বিরাট দৈত্যের মতো একটা অদৃশ্য শত্রুর সারিধ্য গোবধান স্পষ্ট অনুভব করে। এদিকে ততক্ষণে সুরু হয়েছে ওষুধের দোকানে মানুষের লড়াই। দণ্ডধারী ও শ্ৰীমন্ত্যসহায়ের দৈনন্দিন কথা কাটাকাটি আজ প্ৰচণ্ড কলহে পরিণত হয়েছে। শ্ৰীমন্তসহায় চিরদিন কড়া কথাও আস্তে বলে, গলা চড়ায় না। গলা ছেড়ে আজ সে মামাকে গাল দিচ্ছে শুনে গোবর্ধন আশ্চর্য হয়ে গেল । তারপর যে কাণ্ড করল শ্ৰীমন্ত সহায়, দেখে শুনে তাক লেগে গেল গোবধানের। গর্জন করতে করতে দণ্ডধারীকে টেনে হিচড়ে দোকানের বাইরে এনে সজোরে এক ধাক্কা দিল। দণ্ডধারী একেবারে আছড়ে পড়ল বাধান পাথুরে রাস্তার ধুলোয়। আলো নিভিয়ে দোকানের দরজা বন্ধ করতে করতে শ্ৰীমন্তসহায় বলল, “আর ঢুকো না মোর দোকানে তুমি। যেখানে খুশি ডাক্তারী করে বড়লোক হওগে যাও । একটি পয়সা ভাগ চাইব না।” দণ্ডধারী তখনও রাস্তা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় নি। সামনে পা ছড়িয়ে দুপাশে রাস্তায় দুহাতে ভর দিয়ে পিছনে হেলে সে বোধ হয় রাগ