পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

LBBDSS BB DB DDD DDD DBBD LD DBDDDD DL D থমকে দাঁড়াল। মুখ ফিরিয়ে ভাগ্নেকে পাজী, বজাত, বেজন্মা, চণ্ডাল প্রভৃতি কতগুলি বাছা বাছা গাল শুনিয়ে গাল দিতে দিতেই আবার হন হন করে কঁচা পথে নেমে বাড়ির দিকে চলে গেল । শ্ৰীমন্তসহঁায় সকলকে শুনিয়ে বলল, ‘চারটে গা ঘুরে আজ চার টাকা পেয়েছে। কাল পেইছিল। দেড় টাকা । বললাম, কালকের বারগণ্ডা পয়সা যদি না দিলে তো নাই দিলে মামা, আজকের দুটো টাকা দাও ? বলে কিনা, মোর পাওনা নেই!-বাপের শালা কুথাকার । দূর করে দিলাম দোকান থেকে। কদিন ভণ্ডামি সয় বলে ? ওটা কি ডাক্তার ? আমি একটা চটি বই কিনো দিইছি, তাই পড়ে ডাক্তারি করে, আবার আমারি মুখের পরে চোটপাট । পাওনা নেই! মোর সব কিছু --মোর পাওনা নেই!” চায়ের দোকানে গিয়ে সে লোহার চেয়ারটা দখল করে বসল, হঁক দিয়ে বলল, “এক কাপ চা দে দিকি বাবা কে আছিল। দুধ মিষ্টি দিস।। বাবা একটুখানি, তেতো না লাগে।” ধীরে সুস্থে চা পান করে বিড়ির বদলে এক পয়সার একটা সিগারেট কিনে সবে সে ধরিয়েছে, দুরে দেখা গেল বাসের আলো । ৰাসেরই আলো । মোটর গাড়ির আলো আরও নিচে থাকে । গোবধান উঠে দাড়িয়ে কুমড়োটা তুলে নিল কাধে আর নিবারণ গিয়ে দাঁড়াল তার জলভরা বালতির কাছে । জগত চা-ভরা পাত্রটি উনানে তুলে দিল আর দোকানের ঘুমন্ত ছোকরাটাকে এক গাষ্ট্ৰীয় জাগিয়ে দিল আধো কান্নায়। কয়েকটি মিট মিটে আলোজ্বালা স্তন্ধ ঘুমন্ত পুৱী যেন মুহুতে সজাগ হয়ে উঠল। সন্ধ্যাৰেলার মতো লোক নেই, বহুলোক চলে গেছে, কিন্তু অবশিষ্ট কয়েকজনের অতিরিক্ত উত্তেজনা সে অভাব পূরণ করে দিল। و