পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেগুন ক্ষেতের পরে ছোটখাট আম-কঁঠালের বাগান। গাছে গাছে * বাগানটি জমজমাট কিন্তু কেমন যেন শুকনো নিস্ফল চেহারা গাছগুলির, একুয়েকটি গাছে শুধু কাচাপাকা দুচারটি আম ঝুলছে। বাগানের ওপাশে টিনের চাল আর দরমার বেড়ার বাড়ি আছে টের পাওয়া যায়, গাছের ফঁাকে ভালো করে চোখ পড়ে না। বাকী তিনদিকে দূৱ বিস্তৃত DD S DDB S SBDS gEBDSgDD DBBDB KBuBKDBS SBD চাপড়া বসানো । বেগুন ক্ষেতের চারিদিক নির্জন, দিনে-রাতে সবসময় কারো কারো এখানে কম বেশি গা ছমছম করে । বেগুন ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে পুরানো প্যাঙাসে আলপাকার উদি। আর কোলব্যালিশের সরু খোলের মতো প্যাণ্টালুন পরা মাঝবয়সী একটি লোক জোরে জোরে আম-কঁঠালের বাগানটির দিকে চলছিল। বারবার সে বৌটির দিকে চেয়ে দেখছে। গোফ দাড়ি চাছা এবং ক্যানের ডগা পর্যন্ত জুলপি তােলা তৃতার লম্বা ফলপাটে মুখে চােখ দুটি বেশ বড়বড়, যদিও ছোট চোখ হলেই মানাতো বেশি। বাগানে একটা কঁঠাল গাছের নিচে সে বৌটির পথ আটকাল । পাশ কাটিয়ে যাবার পথ অবশ্য চারিদিকে অনেক ছিল । পায়ে চলা যে সরু পথটি ধরে বৌটি আসছিল সেটাও কঁঠাল গাছটির হাত তিনেক তফাৎ দিয়েই গিয়েছে। বৌটি নিজেই সরে তার সামনে আসায় এগোবার আর পথ রইল না। ‘ওমা, সুবলবাবু যে ! পোন্নাম | “এ তোমার কেমন ব্যাভার সুখময়ী ?” “তোমারি বা এ কেমন ব্যাভার সুবলবাবু, দিন দুকুরে নাগাল ধরা ?” দুহাতে কানা ধরে কলসীটা সে নামিয়ে রাখল। যে কাখে কলসী ছিল তার উন্টে দিকে বেঁকে বেঁকে সোজা করে নিল কোমরটা । সুবলের ক্রুদ্ধ নালিশভরা দৃষ্টি দেখে একবার সে অপরাঘিনীর মতো একটু