পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাসল। অবহেলার সঙ্গে। কঁধে ফেলাভিজে আঁচলটি নামিয়ে ধীরে ধীরে ভাঁজ খুলে আবার ভালো করে গায়ে জড়াল। ‘গোড়ায় তো ডরিয়ে গেলাম, কোন মুখপোড়া উকি মারছে গো ? শেষে দেখি মোদের সুবলবাৰু। নিশ্চিন্দি হয়ে তখন সীতার কেটে চান করলাম।” ফিক করে হেসে লজ্জায় মুখ নামিয়ে মৃদুস্বরে বলল, “তোমার জন্তে। সত্যি তোমার জন্যে-কাল ফিরে যেতে হল তোমার!” সুবল ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলল, “কাল তো প্ৰথম নয়। ফিরেই তো যাচ্ছি। এলে না কেন কাল ? রাত দুপুর তক্‌ শিরীষতলায় মশার কামড় খেলাম। মা মনসা না করুন,”-দুহাত জড়ো হয়ে সুবলের কপালে ঠেকে গেল‘সাপের কামড়ে মরব। একদিন ।” সুখময়ী আপসোসের আওয়াজ করল। চুকচুক, “বালাই ষাট । কিন্তু কী করি, তেন যে ফিরে এল গো !” “একবার জানান দিয়ে তো যেতে পারতে, সবাই ঘুমুলে পর ? ঘুরাঘুটি আাধারে একটা মানুষ হঁয়া করে“ঘুমিয়ে পড়লাম যে ! ওনার সাথে ঝগড়া করে কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়লাম।” “ঝগড়া হল ? বেশ, বেশ । তা ঝগড়াটা হল কী নিয়ে ?” “সোয়ামির সাথে মেয়েমানষের আবার কী নিয়ে ঝগড়া হয় ? শাড়ি গয়না নিয়ে ।” সুবল হঠাৎ উত্তেজিত, উৎসুক হয়ে বলল, “তুমি যত শাড়ি গয়না لاس-b{s *ইস ? ফতুর হয়ে যাবেন!’ ছায়ায় চাপা আলো লেগে সুখময়ীর পান খাওয়া দাতের ঘষামাজ অংশগুলিতে ভোতা ঝকমকি খেলে গেল।-- ‘ফতুর নয় হলে। মোর তরে ফতুর হতেই তো চাইছ তুমি হাজারবার। fors ཤi་ཙེ་ লোয়ামি যখন শুধোবে মোকে, আ বেী, শাড়ি গয়না