তো। কী করব আমি ? হাত-পা বাধা মেয়েলোক বই তো নাই! ঘরের বেী, পরের দাসী, কী খ্যামিতা মোর আছে বলে ? তোমায়ঠকাৰ, তোমার জন্যে মরণ হয়েছে আমার ? কিছু ভালো লাগে না অবলুবাৰু, একদণ্ড ঘরে মন বসে না। মাইরি বলছি, কালীর দিব্যি। মন করে কি, দুর ছাই, ঘর-সংসার ফেলে তোমার সঙ্গে পালিয়ে যাই।” বড় একটা ফাক দিয়ে এক ঝলক রোদ সুখময়ীর মুখ ঘেঁসে কাধি ছয়ে মাটিতে পড়েছে। আবেগ আর উত্তেজনায় এতক্ষণে যেন চোখ দুটি তার সেই আলোতে জ্বলজ্বল করে উঠল। সুবল কথাটি বলে না। উলখুল করে আর এ পা থেকে ও পায়ে ভর দিয়ে দাড়ায়। *দেশ গা ছেড়ে দূর দেশে পালিয়ে যাই, যে দেশে কেউ মোদের চিনবে না। সব বালাই চুকিয়ে দুজনে ঘর-কন্না করি।” “ত হয় না সুখময়ী। চাদিকে বড় নিন্দে হবে, আর ফেরা যাবে না।” ‘কে ফিরছে। হেথা ? জমি-জায়গা সব বেচে দিয়ে আমায় নিয়ে পালাবে । মোদের ফিরবার দরকার ” “মোক্তারি করে দুটো পয়সা পাচ্ছিএখানে গাছের ছায়াতে গুমোটে গরম, সুবলের কপাল ঘেমে চোখে এসে পড়তে চায়। আঙুল দিয়ে সে কপালের ঘাম মুছে মুছে ঝেড়ে ফেলতে থাকে । সুখময়ীর ভিজে চেহারায় ঘাম টের পাওয়া যায় না । আগ্ৰহ উত্তেজনা ফুরিয়ে গিয়ে সে শাস্ত হয়ে গেছে। বুকে কাপড় তুলে সে একবার হাটুর কাছে চুলকে নিল, সোজা হয়ে হাঁটু চুলকানো আঙুলেরি একটার ডগা কামড়ে ধরল। ঘাড় তার কাত হয়ে গেল ভাবনায় । কলসীর কানা ধরে তুলতে গিয়ে সে আবার ঘুরে দাঁড়াল। সুখময়ীর রাগ হয়েছে। কলসী ছেড়ে পাক দিয়ে সোজা হয়ে মাথা তুলে দাড়ানোর ভঙ্গিটা তার ফোস করে ফণা তুলে সাপের কামড়ে দিতে চাওয়ার মতো। কি মিষ্টি হাসিই সুখময়ী হাসল। আড় চােখে চেয়ে ày
