পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখান থেকে নানা ফুলের মেশান গন্ধ নাকে আসে। প্ৰথম ডাকেই । সাড়া দিয়ে সুবল বেরিয়ে এলৰ চুপ। আন্তে। আবার কেন ?” “দ্যাখো, তোমার জন্যে কি মারটা মেরেছে আমায় ।” “তোমার জন্যে আমার বদনাম হল সুখময়ী ।। কত ভালো বলতে লোকে আমায়, কত সম্মান করতো, তোমার জন্যে সব গেল।” “চল আমরা পালিয়ে যাই দুচার দিনের মধ্যে। সব বেচে দাও“তোমার খালি বাজে কথা। সব বেচে মোক্তারি ফেলে কোথায় যাব ?” “এত কেলেংকারী হল, চারদিকে চি-চি পড়ে গেল, তবু থাকবে ? কি করে থাকবে ? “আস্তে আস্তে ভুলে যাবে লোকে ৷” সুখময়ী আস্তে আস্তে পিছিয়ে আসছিল, সুবল তার হাত চেপে ধরল। ‘শ্ৰীগগির ফিরতে হবে।” “একটু বসে যাও ? বীে মরে গেছে কবে, এতকাল বিয়ে করিনি তোমার জন্তে ? একটু বসে যাও ?” সুবলের ঘাট বঁধানো । মোক্তারির টাকায় সবে ঘাট বাধিয়েছে, এখনো কোথাও ফাটল পৰ্যন্ত ধরেনি। ঘাটের ধোয়া মোছা পরিস্কার সিমেন্টও সুখময়ীর পিঠের রক্তে লাল হয়ে গেল। সমস্ত ঘাট নয়, সুখময়ীর পিঠের নিচেকার অংশটুকু। পরদিন নাইতে এসে লোকে বলল, কুকুর বা বিড়াল ছানা বিইয়েছে সেখানে। কিম্বা বুনো শেয়াল। 良心