পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাইরের রোয়াক থেকে এক-পা এক-পা করে পিছু হটয়ে এই ঘরে ঢুকিয়েছিল। যাওয়ার আগে একটি গুলি সুমতির উপর খরচ করে গেলেই এসব হাঙ্গামা চুকে যেত। সুমতি বলে, “কি জ্বালা, বেশ্য নিয়েও তো কত মানুষ সুখে দিন কাটাচ্ছে। তোমার বুক জোড়া ধন বিয়ে না করা ইন্ডিারিটি কী ছিল আগে ? যা হয়েছে, হয়ে গেছে। অত বাড়াও কেন ? চৌকিতে তালির পর তালি দেওয়া সাবান-কাচা ময়লা মশারি। বেশি কাচাবার উপায় নেই, জীর্ণ মশারি ছিড়ে যায়। কোময় পৰ্যন্ত শরীর বার করে চৌকির প্রান্তে কনুই পেতে দুহাতের তালুতে চিবুক রেখে সুমতি নির্বিকার শান্তভাবে বলে, “আর তাও বলি, বদমাস গুণ্ড তো নয়, লাখপতি বামুনের ছেলে। সেকালে মুনিঋষি আতিথ হলে রাজারা যেচে রানীকে পাঠিয়ে দিত। তাদের কাছে, ভাগ্যি বলে মানত। একটা রাজার बश्न थांक्ऊ नक्षेटल ' রাঘব উঠে বসে অসহায় ক্ৰোধে দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকে। একটু যদি কঁাদাকাটা করত সুমতি, একবার যদি বলত, এ-প্ৰাণ আমি আর রাখব। না ! গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে সাত্মনা দেওয়া যেত। বিছানায় এস। মিথ্যে কেন সারারাত মশার কামড় খাবে ? ‘এ-জীবনে আমি আর তোকে ছোব ভেবেছিস ?” 'ছুয়ো না । মাঝখানে পাশ বালিশটা দেবখন।” দরজা বন্ধ করলে মাটির ঘরখানার ছোট জানলা দিয়ে ভালো বাতাস আসে না। পচা ইদুরের গন্ধে ঘরের বাতাস ভারি। অনেক খুঁজেও ইদুরটা আবিষ্কার করা যায়নি। মশারির ভিতরে পচা গন্ধটা অক্স সুবাসের তলে চাপা পড়ে গেছে। তার খানিকটা রাঘবের কিনে দেওয়া সুগন্ধি কেৰ্প তৈলের, খানিকটা ছোটবাবুর আতর মাখ। রুমালের । রুমালটা ছোটবাবু ফেলে গেছে। , y