পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাঠির গুতো খাবার ভয় থাকলে কি সাবান, ফিনাইল, ওষুধের পয়সায় তাড়ি গিলত ? ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে জানলে কি কেউ দুদিনের জন্য কাজে ঢুকে কোম্পানীর পয়সায় ভাঙা ঘরের সংস্কার করিয়ে সরে পড়ত ? r তৃতীয় দিন নির্মলেন্দু গিয়েছিল রাজগঞ্জে-মাইল তিনেক মোটরে, এক মাইল পায়ে হেঁটে, বাকী পথ নৌকোয়। রাজগঞ্জে রাঘব বাস করে। রাত্রে সে যখন ফিরে এল, মেজাজে তার এতটুকু উত্তাপ নেই। পরদিন মেঘহীন আকাশে তেজী সুৰ্য দেখা দিল, সে-ও চলে গোল কলকাতায় । ডাক্তার বলল, “ভায়ের কিছু আছে মনে হয় না। গোরস্ত ঘরের বেী তো ?” নির্মলেন্দু বলল, “ছোটলোকের বেী, ভীষণ নোংরা। দুর্গন্ধে ঘরে দম `च्छ८ टांगष्वि ? “কী যে খেয়াল আপনার ”-ডাক্তার হাসল, “দেখা যাক। কদিন থেকে যেতে হবে ।”

  • थोंकद ।'

রাজগঞ্জে সুমতি তখন বালিশের তলা থেকে নির্মলেন্দুর দামী রুমালটি বার করে নাকের সামনে নাড়ছিল । সুগন্ধ অনেকটা উপে গেছে। মনের গৰ্ব তার একবিন্দু কমেনি। এ-জগতে তার তুলনা নেই। রাজার্কে জয় করেছে, কে বলে সে রাজকন্যা নয় ? কলকাতার বাড়িতে মা-বোনের থাকে, আর থাকে আত্মীয়-স্বজন । তারা স্নেহযত্ন আত্মীয়তা তোষামোদ দেয় অজস্র। নির্মলেন্দু কৃতজ্ঞচিত্তে সব গ্ৰহণ করে, আশ্রিত ও লিন্সদের মন জোগানের সস্তা চেষ্টা পর্যন্ত। মানুষের মনের মাধুর্যের ঐশ্বৰ্য তাকে মুগ্ধ করে দেয়। সে