পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাপড় পছন্দ করে চারু নিজেই দাম জিজ্ঞাসা করে । দাম শুনে বলে, “বাবা ! সস্তা দেখে দিন ।” নীরদ বলে, “নে নে, ওটাই নিয়ে নে। জালাস নে আর ” স্কুলের পরীক্ষাগুলি চারু এমনিই পাশ করে এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাটা পাশ করিয়ে দেবার জন্য শেষ বছর একজন মাষ্টার রাখা হল। অনুরূপ বলেছিল, “সম্বন্ধ খুজে বিয়ে দিয়ে দিলে হয়। বোকা হাবা মেয়ে যদি না পাশ করতে পারে ?” নীরদ বলেছিল, ‘বিয়ে! ওইটুকু মেয়ের বিয়ে কি গো ! পড়ছে, পড়ুক।” অনুরূপ তর্ক করে না, কথা কাটায় না । মেয়ের বিয়ের মতো বড় কথা বলেই সে বলল, “মেয়ে তোমার ওইটুকুই আছে। দুবছর বয়েস ছাপিয়ে ভতি করেছিলে মনে নেই ? বছর বছর টেনে হিচড়ে ক্লাশে উঠেছে। কি হবে ওকে পড়িয়ে ?” তার পরেই চারুকে তালিম দেবার জন্য লোকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জগত ছেলেটি ভালো। কারণ, সে গরীব এবং নিজের চেষ্টায় অনেক কষ্ট সহ করে পড়াশোনা চালিয়ে এলেও বরাবর ভালো 6न्नखाल्छे कcझ 4cगCछ । জগত পড়ায়, চারুর মন পড়ে থাকে অন্দরে। 'দাড়ান, আসছি” বলে থেকে থেকে সে উঠে যায় বাপের খুঁটিনাটি সেবা করতে। দিন সাতেক চুপ করে থেকে জগত প্ৰতিবাদ করল। “পড়ার সময় বার বার উঠে গেলে চলবে না ।” “বাবার কাজ করতে যাই ।” ‘আর কেউ নেই বাড়িতে ? ‘আমি ছাড়া কেউ পারে না ।” শুনে জগত আশ্চৰ্য হয়ে যায়। কিন্তু অবস্থাটা মেনে নিতে রাজী হয় না । জগতের মতো ছেলেদের আবার বিবেক বলে একটা মনোধৰ্ম