পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘গায়ের জোরে নাকি তোমার ?” ‘জোর কই গায়ে” । “তোমার মতলব জানি, তুমি প্ৰতিশোধ নিতে এসেছি। ভেবেছ, মরতেই যখন হবে, ওদের ওখানে গিয়ে মরি, দু জনের শান্তি নষ্ট হয়ে যাবে। সিনেমার গল্প ঘেঁটে ঘেঁটে তোমার মাথা বিগড়ে গেছে ভূপতি। এ রকম উদ্ভট নাটুকেপনা করে তাই মরতে এসেছ প্ৰতিশোধ নিতে ” 'চার বছর সিনেমা ছেড়েছি ভাই, অসুখে ভুগছি। কিসের প্রতিশোধ ” “বাজে বোকো না ভূপতি।”

  • বাজে বকতে সত্যি কষ্ট হয়।” “এসেছি, আজ রাতটা থাকে। কাল সকালে নিজে থেকে যদি না যাও, তোমায় হাসপাতালে ফেলে রেখে আসব। জিদ করে মদ খাওয়াতে

গিয়ে আমি বৌয়ের দাঁত ভেঙ্গে ফেলি না, কিন্তু আমিও নিষ্ঠুর হতে জানি।” “এমনিতেই পাঁচ সাত দিন মোটে টিকিব । জোর করে তাড়াতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হবে।” পরাশর হার মেনে চুপ করল । কতদিন থেকে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে ভূপতির কাছে ভয়-ডর দ্বিধা-সংকোচ লজ্জা-মান সব কিছু বাতিল হয়ে গেছে কে জানে! শিশু আর মুমুধুর সঙ্গে কে লড়াই করবে ? এতক্ষণে পরাশরের নজরে পড়ল, ঠোঁটে আঙ্গুল ঠেকিয়ে প্রমীলা তাকে নিষেধ করছে, চোখ দিয়ে জল পড়ছে প্ৰমীলার। ভূপতি আবার চোখ বন্ধ করল। অস্ফুটম্বরে বলল, “একজন ডাক্তার ডাকাও ৷ তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকাও একজন। আমায় বিছানায় तुईझ ला७ । क। लिन बैष्मि झांक्ष। भङ्गठ ७ि नां ।' ব্যাকুলতায় পাগলের মতো হয়ে প্ৰমীলা বলল, “শিগগির যাও, ডাক্তারবাবুকে ডেকে আনে। কী করি এখন আমি।” ዓዓ