পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারপর ডাক্তার এল, ওষুধ এল, পথ্য এল, রচিত হল মুমূর্ষর রোগশয্যা । ভূপতি মারবে তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু এখনো যখন মরেনি তাকে বাঁচাবার সমস্ত চেষ্টাই করতে হবে বৈকি। চার বছরের চেষ্টায় কেঁছো ফল হয় নি তাও সত্য, কিন্তু ভূপতি শেষ হয়ে যাবার আগে তো চেষ্টা শেষ হতে পারে না । হাড়কাপানো পাহাড়ী শীতে অনেক রাত পর্যন্ত ছুটোছুটি করে পরাশর যে চিকিৎসার আয়োজন করে ফেলল তাতে আর খুত রইল না। র্যাপার-কম্বল জড়িয়ে রোগীর শিয়রে বসে দুজনে রাত কাটিয়ে দিল। রাতভোর দুজনেই যে কতবার সন্তৰ্পণে পরীক্ষা করে দেখল ভূপতির ccश् था। चigछ कि ना ! ঘুমে অথবা অবসাদে সারারাত ভূপতি মড়ার মতো পড়ে রইল। প্রথম সে চোখ মেলে চাইল অনেক বেলায়, ভাঙ্গা গলায় ফিসফিস আওয়াজে eथं कथं छेत्ता, ‘अभि नेि नि ?' ডাক্তার পরামর্শ দিলেন যে এসব রোগের চিকিৎসা এসব রোগের চিকিৎসাকেন্দ্ৰেই ভালো হয়। আশা যদিও নেই বিশেষ কিছু, তবু ভূপতিকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়াই উচিত। প্রমীলা তাকিয়ে রইল পরাশরের মুখের দিকে। পরাশর বলল, “থাকগে, কাজ নেই। আমরাই যতটা পারি করি।” পাঁচদিন গেল, সাতদিনও গেল। ভূপতি মরাল না। চেঞ্জ, নতুন ডাক্তারের চিকিৎসা, পথ্যের অদল-বদল, সেবা-যত্নের নতুনত্ব, মানসিক পরিবর্তন কিসে যে কি হল কেউ জানে না, তিন সাতে একুশ দিন পরেও ভূপতি বেঁচে রইল। ডাক্তার, স্পেশালিষ্ট নন বলে এখানে রেখে ভূপতির চিকিৎসা করতে যিনি অস্বন্তি বোধ করছিলেন, তিনি গর্ব ও আনন্দের সঙ্গে জানিয়ে দিতে লাগলেন দিন দিন ভূপতির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। y