পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেডমাষ্টায় ভূপতি চক্রবর্তী বললেন, “আপনি ওদের একটু বুঝিয়ে । * বলুন। আমি বলেছিলাম, বিশ্বাস করে নি।’ ] মাধব কি আর করে, দুবার খুক খুব্ধ করে কেশে নিয়ে চিৎকার আরম্ভ করল : সকলে শোন- . সকলে শুনল। সেই ভয়ানক স্তব্ধতা ভেঙে গেল। উন্মুখ ভিক্ষুক বোধ হয় মরে গেলেও আশ্বাসের মন্ত্রে বেঁচে ওঠে। নয়তো পৃথিবীতে এত মানুষ আজও বেঁচে আছে কেন ? ভিড় যেন সন্বিৎ ফিরে পেয়ে সশব্দ উত্তেজনায় জীবনের গুজন তুলে গায়ের দিকে রওনা হল। আজ আসেনি। কিন্তু তাদের জন্য অন্ন আসবে। খেতে তারা পাবেই। স্বয়ং ধনঞ্জয় সরকার তাদের সকলকে খাওয়াবেন । স্টেশনে আসা তাদের সার্থক হয়েছে। ঝোপে আর গাছে ছড়ান জোনাকিগুলি যেন টেপ টেপা সংকেতে সায় দিতে লাগিল । স্কুলের ঘরে মাধবের থাকবার ব্যবস্থা হয়েছিল। স্কুল আজ মাস দুই বন্ধ আছে। ছেলে হয় না বলে ধনঞ্জয় পুজোর ছুটি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখবার হুকুম দিয়েছিলেন। স্কুলের লাগাও হেডমাষ্টারের বাড়ি, মাধবের জন্য তিনি খাওয়ার আয়োজনটা করেছিলেন ভালোই। হেডমাষ্টারের স্ত্রী নিজে পরিবেশন করে তাকে খাওয়ালেন, পান এনে দিল তার মেয়ে । অতিথিকে ঘরের লোক করে নেওয়াটা গ্ৰাম্য ব্যবহার । তবে এক্ষেত্রে সেটা একটু খাতির করায় দাঁড়িয়ে গেল। স্কুলের মাষ্টারদের বেতন এক পয়সা বাড়ান হয়নি, এই দুদিনে তাদের দিন চলে না। এদিকে মাধব ধনঞ্জয়কে একটু বললেই এ অবস্থার প্রতিকার হতে পারে। এটুকু উন্থ থাকলে ভূপতির বাড়ির পারিবারিক আদর-যত্নে মাধব মুগ্ধ হয়ে যেতে পাৱত । স্কুলের কেরানি শুমল। এ বাড়িতেই থাকে। খাওয়াদাওয়ার পর আড়াল থেকে স্বার্থের কথাটা সেই সামনে টেনে আনল। শুঠামলের বয়স জিশের br8