পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিচে, অজীর্ণের চেহারা । বিনিয়ে বিনিয়ে শোকের শোভাযাত্রার মতো কথা, বলে । “আমাদের দিকে একটু না তাকালে আমরা তো আর বাচি না, মাধববাবু। বাবুর আপিসের পিয়ন পৰ্যন্ত রেশন পাচ্ছে, আর —” তামিল প্ৰায় কখনোই মুখের কথা শেষ করে না। যেটুকু বলা হলে বক্তব্য বোঝা যায়। সেইটুকু বলেই সে সার্থক হাসির ভঙ্গিতে নীরবতার জের টানে । মাধব হেসে বলল, “আপনারা তো সুখে আছেন মশায়। ছুটিও ভোগ করছেন, মাইনেও পাচ্ছেন।” ভূপতি বিমৰ্ষভাবে বললেন, “সরকার মশায় হঠাৎ যে কেন স্কুলটা বন্ধ করলেন। প্ৰায় নব্বইটি ছেলে অ্যাটেও করছিল--” ‘নব্বই ? বলেন কি সার!” মাধবের পান চিবানো বন্ধ হয়ে গেল। “আঞ্জে হ্যা । আমি নিজে অ্যাটেণ্ডাক্ষস রেজিষ্টার দেখে অ্যাভারেজ কৰে পাঠিয়েছি। বাবু বুঝি বিশ্বাস করেন নি?” ভূপতি শঙ্কিত ভাবে প্রশ্ন করলেন । আবার পান চিবোতে আরম্ভ করে মাধব বলল, “বিশ্বাস অবিশ্বাস জানি না। মাষ্টার মশায়। বাবুকে জানেন তো, কখন কি খেয়াল চাপে কেউ টেরও পায় না। উনি রসিক পিয়নকে পাঠিয়েছিলেন ছেলে গুণতে । ও ব্যাটা এক নম্বর ধূর্ত। গিয়ে বলে কি, নিমতলায় গামছা কঁধে ঠায় বসে থেকে এক এক করে” গুণে দেখেছে, তেত্রিশটি ছেলে স্কুলে এল ।” শুঠামল হাত কচলাতে লাগল। ভূপতি খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে DBBB SBDDSTBBB DBB DuD DDD DDD SS DBS D BBBS মেলা-টেলা থাকলে ছেলেরা আসে না।” স্কুলের ঘরে শুতে গিয়ে ধনঞ্জয়ের আশ্চৰ্য উদারতার কথা ভাবতে ゲ般