এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেমেদের ঘাঘরার মতো আমার পায়ের তলায় লুটিয়ে পড়েছে, আর তার আস্তিন দুটো পাখির ডানার মতো আমার কাঁধের দুদিকে হাওয়ায় উড়ছে। পায়ের তালতলার চটি জোড়া এত বড় হয়ে গেছে যে, তাতে করে অনায়াসে গঙ্গা পার হতে পারি। আমি এই আশ্চর্য ব্যাপার দেখে হতবুদ্ধি হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলুম।
ভোঁদড়দাদা আমার হাত ধরে বললে, “আর, আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবলে কি হবে? এখন চল, আমার বাড়িতে, তোমার কাপড় বদলে আনিগে। আমার কাপড় তোমার গায়ে এখন ঠিক হবে।”
ভোঁদড়দাদার সঙ্গে ভাঙা পিপের ভিতর দিয়ে অনেকখানি নেমে গিয়ে তার বাড়ি দেখে অবাক হয়ে গেলুম। এ রকম আগে কখনো দেখিনি। ঘোর নীল রঙের চকচকে চীনা মাটির সাত মহলা বাড়ি—চারদিকে মস্ত বাগান, তাতে নানা রকম রঙিন কাগজের গাছে কত রকমের শোলার ফুল যে ফুটেছে তার ঠিকানা নেই। খিড়কির পুকুরে এক পাল চীনেমাটির রাজহাঁস সাঁতার
২৪