বুদ্ধিমন্ত গম্ভীরমুখে ভোঁদড়দাদার কাছে এসে বললে, “মহারাজ, অদ্য আমাদের ট্রেন মিস হইয়াছে।”
এই নিদারুণ সংবাদে আমরা সকলে মাথায় হাত দিয়ে প্ল্যাটফরমে বসে পড়লুম।
কুনো-বেড়ালের দল “বাবা গো, মা গো, কি হল গো” করে কান্না জুড়ে দিলে, সেনাপতি-সাহেব ব্যতিব্যস্ত হয়ে চারদিকে ছুটোছুটি করতে লাগল।
এক দল চীনে-সাহেব প্ল্যাটফরমের নিচে ঠুক-ঠাক করে কি মেরামত করছিল। বুদ্ধিমন্ত তাদের কাছে গিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কি বকাবকি করলে তার একটা কথাও আমরা বুঝতে পারলুম না, তারপর দেওয়ানজীকে ডাকিয়ে তাদের সকলের হাতে এক মুঠো করে মোহর গুঁজে দিতে তখন চীনে-সাহেবেরা ছুটে গিয়ে কারখানা-ঘর থেকে কতকগুলো লোহার চাকা গড়িয়ে এনে প্ল্যাটফরমের দুদিকে দড়াদড়ি বেঁধে বড়-বড় পেরেক ঠুকে, স্ক্রু কষে দিয়ে বললে, “সব ঠিক হো গিয়া। যাও, অব্ ঘণ্টি মারো।”
বুদ্ধিমন্ত ছুটে গিয়ে ইস্টিশানের লোহার ঘণ্টা ঢং-ঢং