বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভোঁদড় বাহাদুর - গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৫৬).pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 টিয়ে-সাহেব তার গার্ড আর পাহারাওয়ালাদের কমলাপুলিতে ফিরে যেতে হুকুম দিয়ে বললে, “তা হলে চলুন, মহারাজ, আমার মোটরেই যাওয়া যাক, এখানে আর দেরি করে কি হবে?”

 টিয়ে-সাহেবের কাছে গিয়ে বুদ্ধিমন্ত বললে, “সাহেব, তুমি তো বললে চলুন, কিন্তু যাই কি করে? দেখছ না; ওদিকে কে আমাদের পথ আগলে দাঁড়িয়ে আছে?”

 সিংহীর মামাকে দেখে টিয়ে-সাহেব তাড়াতাড়ি পকেট থেকে চকচকে পিস্তল বার করে দুমদাম আওয়াজ বার করতে লাগল। কিন্তু মামা সব বন্দুকের গুলি হজম করে, চার চক্ষু রক্তবর্ণ করে, সাহেবের দিকে আস্তে-আস্তে এগিয়ে আসছে দেখে বুদ্ধিমন্ত ছুটে-ছুটে সাহেবের কাছে গিয়ে বললে, “সাহেব, এতক্ষণে বুঝতে পারলুম, দু-মুখো রাক্ষস মায়াবলে সিংহীর মামার রূপ ধারণ করে আমাদের পথ আটকেছে। বদ্দিবুড়োর ওষুধের গুণে আমাদের গায়ে হাত দিতে পারছে না, কিন্তু তোমায় এখুনি কড়মড় করে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে। এই নাও সেই ওষুধ, খানিকটা আমার কাছে ছিল,

৫২