বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভোঁদড় বাহাদুর - গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৫৬).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সাপের মাথার মণি দেখছ, ও দুটো উমনো আর ঝুমনোকে দিও, আর এই গজমোতির হারছড়াটা গিন্নিকে দিয়ে বোলো—” এইটুকু বলে ভোঁদড়দাদা আর কথা বলতে পারল না, মুখে রুমাল দিয়ে চুপ করে বসে রইল।

 আমি বুদ্ধিমন্তর কাছে গিয়ে বললুম, “এস, সকলে মিলে এক সঙ্গে তুষানলে প্রাণত্যাগ করা যাক। বাড়ি ফিরে আবার বড়-বড় পণ্ডিতমশাইদের হাতে পড়ার চেয়ে প্রাণত্যাগ করা ঢের ভালো মনে করছি।”

 বুদ্ধিমন্ত আমার কথা শুনে বললে, “আমি তো ভাই মরেই আছি, আমার বাঁচা-মরা দুই-ই সমান। কোনদিন শেয়াল ভায়াদের হাতে পড়ে প্রাণটা যাবে, তার চেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে এক সঙ্গে প্রাণত্যাগ করা খুবই ভালো মনে করি। টিয়ে-সাহেব তুমি কি করবে?”

 সাহেব বুক ফুলিয়ে বললে, “আমি মরতে ভয় করিনে। কিন্তু পুড়ে মরতে পারব না, কারণ সেটা আমাদের ধর্ম নয়। আমার এই পিস্তলের গুলি খেয়ে আমি মরতে রাজী আছি।”

 এই কথা বলে সাহেব বুদ্ধিমন্তর হাতে পিস্তলটা

৬০