এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দিয়ে একটু দূরে গিয়ে একটা পাথরে ঠেস দিয়ে দাঁড়াল, তারপর পকেট থেকে একটা লালরঙের রুমাল বার করে নিজের দুই চোখ বেশ করে বেঁধে চিৎকার করে বললে, “আমি প্রস্তুত! তাক করে ঠিক আমার বুকে মারো।”
শেয়াল-ভায়া আমাদের সকলের রকম-সকম দেখে হেসে গড়াগড়ি দিয়ে বললে, “আচ্ছা, তোমরা প্রাণত্যাগ করবার জন্য হঠাৎ এত ব্যস্ত হয়ে উঠলে কেন বুঝতে পারছিনে। আগে আমি কি বলি শোনো, তারপর যা ইচ্ছা হয় তাই কর।”
এই বলে শেয়াল আমাদের সামনে একটা পাথরের উপর বসে বলতে লাগল, “আমাকে প্রায় রোজ রাত্তিরে এই জায়গাটা দিয়ে আনাগোনা করতে হয়। সেদিন রাত্তিরে আমার বাড়ি ফিরতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল, তখন রাত প্রায় চার প্রহর হবে। এই জায়গাটায় আসবামাত্র সেদিন আমার গা কেমন ছমছম করে উঠল। এরকম ছমছমে ভাব আগে আমার কখনো হয়নি। মনে করলুম, সকালে নাপিত-ভায়া আমায় কামাতে-
৬১