বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভোঁদড় বাহাদুর - গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৫৬).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 এই বলে বুদ্ধিমন্ত তরতর করে পান্নার গাছে উঠে পড়ল, দুটো মানিকের ফুল পেড়ে এনে যেই তালপাতার সেপাইদের গায়ে ফেলে দিলে, অমনি তারা এদিকওদিকে সরে গেল, আর সেই সোনার দরজা আমাদের সামনে বেরিয়ে পড়ল।

 বদ্দিবুড়োর সোনার চাবি দিয়ে দরজা খুলে দেখলুম, প্রকাণ্ড একটা লাল পাথরের কুয়ো আর তার ভিতরে শাদা পাথরের সিঁড়ি ঘুরতে-ঘুরতে নেমে গেছে।

 আমরা সেই সিঁড়ি দিয়ে নামতে আরম্ভ করলুম। এক ধাপ নামতেই উপরের সোনার দরজা দড়াম করে আপনি বন্ধ হয়ে গেল। সিঁড়িতে কোনো রকম আলো ছিল না, কিন্তু কোথা থেকে যে একটা ঝাপসা আলো আসছিল বুঝতে পারলুম না। ঘুরতে-ঘুরতে অনেক দূর মাটির নিচে নেমে আবার উপরে উঠতে লাগলুম। এই রকম ওঠা-নামা করতে-করতে প্রকাণ্ড এক আকাশের মতো নীল ঘরে এসে মনে হল যেন আকাশের কোথায় এক জায়গায় এসে পড়েছি। সেই ঘরে জানলা, দরজা বা কোনো রকম আসবাবপত্র নেই, খালি ঘরের

৬৮