পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম পরিচ্ছেদ।
১৭

বিচারালয়ে নীত ও রাজদণ্ডে নিগৃহীত হইতেন, তাহার সন্দেহ নাই। দৈবযোগে, এক বিদেশীয় বন্ধুর সহিত সাক্ষাৎ হওয়াতে, তিনি কহিলেন, বয়স্য! তুমি এ দেশে আসিয়াছ কেন। কিছু দিন হইল, জয়স্থলে হেমকূটবাসীদিগের পক্ষে ভয়ানক নিয়ম প্রবর্ত্তিত হইয়াছে। তুমি হেমকূটবাসী বলিয়া কোনও ক্রমে কাহারও নিকট পরিচয় দিও না। মলয়পুর তোমার জন্মস্থান, এবং সে স্থানে তোমাদের বহুবিস্তৃত বাণিজ্য আছে; কেহ তোমায় জিজ্ঞাসা করিলে, মলয়পুরবাসী বলিয়া পরিচয় দিবে। অত্রত্য লোকে তোমার প্রকৃত পরিচয় পাইলে, নিঃসন্দেহ তোমার প্রাণদণ্ড হইবেক। হেমকূটবাসী এক বৃদ্ধ বণিক আজ জয়স্থলে আসিয়াছিলেন। অধিরাজের আদেশক্রমে, সূর্য্যদেবের অস্তাচলচূড়ায় অধিরোহণ করিবার পূর্ব্বেই, তাঁহার প্রাণদণ্ড হইবেক। অতএব, যত ক্ষণ এখানে থাকিবে, সাবধানে চলিবে। আর আমার নিকট যাহা রাখিতে দিয়াছিলে, লও।

 এই বলিয়া, তিনি স্বর্ণমুদ্রার একটি থলী চিরঞ্জীবের হস্তে প্রত্যর্পণ করিলেন। তিনি তাহা স্বকীয় পরিচারকের হস্তে দিয়া কহিলেন, কিঙ্কর! তুমি এই স্বর্ণমুদ্রা লইয়া পান্থনিবাসে প্রতিগমন কর; অতি সাবধানে রাখিবে, কোনও ক্রমে কাহারও হস্তে দিবে না। এখনও আমাদের আহারের সময় হয় নাই, প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্ব আছে; এই সময় মধ্যে নগর দর্শন করিয়া, আমিও পান্থনিবাসে প্রতিগমন করিতেছি। তুমি যাও, আর দেরী করিও না। কিঙ্কর যে আজ্ঞা বলিয়া প্রস্থান