পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম পরিচ্ছেদ।
২১
 চিরঞ্জীব নিতান্ত অধৈর্য্য হইয়া কহিলেন, কিঙ্কর! তুমি বড় নিবোধ, যত আমায় ভাল লাগিতেছে না, ততই তুমি পরিহাস করিতেছ; বারংবার বুারণ করিতেছি, তথাপি ক্ষান্ত হইতেছ না; দেখ, সময়ে সকলই ভাল লাগে; অসময়ে অমৃতও বিস্বাদ ও বিষতুল্য বোধ হয়। যাহা হউক, আমি তোমার হস্তুে যে সমস্ত স্বর্ণমুদ্রা দিয়াছি, তাহা কোথায় রাখিলে, বল। কিঙ্কর কহিল, না মহাশয়! আপনি আমার হস্তে কখনই স্বর্ণমুদ্রা দেন নাই। তখন চিরঞ্জীব কহিলেন, কিঙ্কর। আজ তোমার কি হইয়াছে, বলিতে পারি না। পাগলামির চুড়ান্ত হইয়াছে, আর নয়, ক্ষান্ত হও। বল, স্বর্ণমুদ্রা কোথায় কাহার নিকটে রাখিয়া আসিলে। সে কহিল, মহাশয়! এখন স্বর্ণমুদ্রার কথা রাখুন। আমার হস্তে স্বর্ণমুদ্রা দিয়া থাকেন, পরে বুঝিয়া লইবেন; সে জন্যে আমার তত ভাবনা নাই। কিন্তু, কর্ত্রী ঠাকুরাণী আজ কাল অতিশয় উগ্রচণ্ডা হইয়াছেন, তাহার ভয়েই আমি অস্থির হইতেছি। তিনি সত্বর আপনাকে বাটতে লইয়া যাইতে বলিয়া দিয়াছেন। আপনারে লইয়া না গেলে, আমার লাঞ্ছনার একশেষ হইবেক। অতএব, বিনয় করিয়া বলিতেছি, সত্বর গৃহে চলুন। তিনি ও তাঁহার ভগিনী নিতান্ত আকুল চিত্তে আপনকার প্রতীক্ষা করিতেছেন।

 এই সকল কথা শুনিয়া, কোপে কম্পান্বিতকলেবর হইয়া, চিরঞ্জীব কহিলেন, আরে দুরাত্মন! তুমি পুনঃ পুনঃ কর্ত্রী ঠাকুরাশীর নাম করিতেছ; তোমার কর্ত্রী ঠাকুরাণী কে, কিছুই বুঝিতে