পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
ভ্রান্তিবিলাস।

অসময় বিবেচনা নাই। যদি আমার নিকট পরিহাস করিবার ইচ্ছা থাকে, আমি কখন কি ভাবে থাকি, তাহা জান ও তদনুসারে চলিতে আরম্ভ কর, নতুবা প্রহার দ্বারা তোমার পরিহাসরোগের শান্তি করিব। কিঙ্কর কহিল, আপনি প্রভু, প্রহার করিলেন, করুন; আমি দাস, অনায়াসে সহ করিলাম; কিন্তু কি কারণে প্রহার করিলেন, তাহা না বলিলে, কিছুতেই ছাড়িব নাই। চিরঞ্জীব, এই সময়ে, দুটি ভদ্র স্ত্রীলোককে তাঁহার দিকে আসিতে দেখিয়া, কহিলেন, আরে নির্ব্বোধ! স্থির হও, এখন আর ও সকল কথা কহিও না; দুটি ভদ্রবংশের স্ত্রীলোক, বোধ হয়, আমার নিকটেই আসিতেছেন।

 জয়স্থলের কিঙ্কর সত্বর প্রতিগমন না করাতে, চন্দ্রপ্রভা, নিতান্ত অধৈর্য্য হইয়া, ভগিনীকে সমভিব্যাহারে লইয়া, স্বীয় পতি চিরঞ্জীবের অন্বেষণে নির্গত হইয়াছিলেন। ইতস্ততঃ অনেক অনুসন্ধান করিয়া, পরিশেষে পান্থনিবাসে উপস্থিত হইয়া, তিনি হেমকুটের চিরঞ্জীব ও কিঙ্করকে দেখিতে পাইলেন, এবং তাহাদিগকে জয়স্থলের চিরঞ্জীব ও কিঙ্কর স্থির করিয়া, নিকটবর্ত্তিনী হইলেন। হেমকুটের চিরঞ্জীব, ইতিপূর্ব্বেই, স্বীয় ভূত্য কিঙ্করের উপর অত্যন্ত কোপান্বিত হইয়াছিলেন; এক্ষণে বিলক্ষণ যত্ন পাইলেন, তথাপি তদীয় উগ্রভাবের একবারে তিরোভাব হইল না। চন্দ্রপ্রভা, তাঁহার মুখের দিকে দৃষ্টি সঞ্চারণ করিয়া, অভিমানভরে কহিতে লাগিলেন, নাথ! আমায় দেখিলেই তোমার ভাবান্তর উপস্থিত হয়; তোমার বদনে রোষ ও